অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় বরখাস্ত পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২১ জুন) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক মঞ্জুরুল ইমাম এ রায় ঘোষণা করেন।
গত ৫ জুন রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি-তর্ক শুনানি শেষ হওয়ার পর রায় ঘোষণার জন্য ২১ জুন দিন ধার্য করেন আদালত।
এই মামলার চার আসামির মধ্যে ডিআইজি মিজান কারাগারে আছেন। তার ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান জামিনে রয়েছেন। অপর আসামি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার ওরফে রত্না রহমান পলাতক।
২০২০ সালের ২০ অক্টোবর একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। প্রায় আড়াই বছর পর গত ১২ এপ্রিল মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। মামলাটিতে চার্জশিটভুক্ত ৩৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
এরপর গত ১৪ মে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় তিন আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান।
২০১৯ সালের ২৪ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে ডিআইজি মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।
২০২০ সালের ১ জুলাই শাহবাগ থানা পুলিশ মিজানকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান আদালত।










সত্যের সন্ধানে আমরা — NRD News Media Limited