অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে সাহায্য করতে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা (যুক্তরাষ্ট্র) আমাদের বলেছে, প্রধানমন্ত্রী যে ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন করতে চান সেটাকে সাহায্য করার জন্য তারা তাদের ভিসা নীতির প্রচলন করেছে। আফটার ইট উড বি ইফেকটিভ…আই ডোন্ট নো।
শনিবার (২৭ মে) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা জানান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা চাইবো এই ভিসা নীতির আওতায় জ্বালাও-পোড়াও বন্ধ করো। কারণ যারা একবার জ্বলেছে এবং জীবিত আছে তাদের চেহারা দেখে আপনি বড় দুঃখ পাবেন। আমরা আর জ্বালাও-পোড়াও চাই না। ৩ হাজার ৮০০ গাড়ি-ঘোড়া জ্বালিয়েছে, বগি-স্টিমার জ্বালিয়েছে। এই আইনের কারণে যদি জ্বালাও-পোড়াও বন্ধ হয় দ্যাট উড বি অ্যা ব্লেসিং। জ্বালাও-পোড়াও কারা করে আপনি জানেন। যারা করেন তাদের সতর্ক হওয়া দরকার, তাদের লিডারশিপের সতর্ক হওয়া দরকার।
‘ভিসানীতি পরিবর্তনের বিষয়ে কোনো আবেদন করা হবে কী না’ জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের আবেদন করার কোনো প্রয়োজন নেই। আমরা একটি সুন্দর-স্বচ্ছ; ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন করার জন্য যা যা দরকার আমরা সেই ইনস্টিটিউশন ডেভেলপ করেছি। আমরা একটা ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন করব। সেখানে অন্য কেউ আমাদের সাহায্য করেন—ভালো, না করলেও উই আর কমিডেট টু। আর আওয়ামী লীগ হচ্ছে এই দেশে গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় পূজারী। আমরা এই দেশে গণতন্ত্রকে রিএস্ট্যাবলিশ করেছি, আমরাই গণতন্ত্রের মাধ্যমে সবসময় নির্বাচিত হয়েছি। এই দেশে যারা গণতন্ত্রের বাইরে গিয়ে নির্বাচিত হয়েছে তাদের এক, দুই মাসের মধ্যে মানুষ ফেলে দিয়েছে। সুতরাং এই দেশে এটা মনে রাখবেন জনগণের রায়ে যদি সরকার না হয় ধ্বংস হয়ে যাবে, যার নমুনা মানুষ দেখেছে।
তিনি বলেন, আমরা জনগণের ওপর বিশ্বাস করি, আমরা জনগণের জন্য কাজ করি। আমাদের অন্য কোনো স্বার্থ নেই। আমরা মানুষের মঙ্গলে কাজ করি, মানুষের মঙ্গল হয় বলে নিশ্চয়ই মানুষ আমাদের সাহায্য করবে। কারণ এই সাহায্য তার নিজেকে করবে।