টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানা পুলিশ, জনাব এস. এম. মনসুর মুসা, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার, মির্জাপুর সার্কেল মহোদয়ের সার্বিক তত্ত্ববধানে তথ্য প্রযুক্তি ও বিভিন্ন কলাকৌশল অবলম্বন করে এবং জনাব শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম, অফিসার ইনচার্জ মির্জাপুর থানা, টাঙ্গাইল সাহেবের দিক নির্দেশনায় এবং পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জনাব, মোঃ গিয়াস উদ্দিন পিপিএম সাহেবের সহযোগিতায় বিশেষ গ্রেফতার অভিযানে হত্যা মামলায় জড়িত পলাতক এজাহার নামীয় ১ নং আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।
এর পূর্বে ইং ০১/০৪/২০২৩ খ্রি তারিখ অত্র মামলায় এজাহার নামীয় পলাতক ৩ নং আসামী লায়লী বেগম(৬০), স্বামী-মৃত নফেজ উদ্দিন, সাং-সরিষাদাইড়, থানা-মির্জাপুর জেলা-টাঙ্গাইলকে মির্জাপুর থানা এলাকা হইতে মামলা রুজুর ০৩ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হয়।
এজাহারে বাদী জানায় যে , বাদীর পিতা তাহার ভগ্নিপতি এবং তাহার বোন রুবিনা কে সাথে নিয়ে তাহার বোনের স্বামী জুয়েল মিয়া এর বাড়ি সরিষাদাইড় থানা মির্জাপুর জেলা টাঙ্গাইল এ রেখে আসার জন্যে বিবাদীদের বাড়িতে পৌঁছাইলে বাদীর বোন রুবিনার স্বামী জুয়েল মিয়া দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকায় এজাহার নামীয় বিবাদীদের সাথে জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়া পূর্ব শত্রুতার জের ধরিয়া এজাহার নামীয় বিবাদীগন বাদীর পিতার সাথে তর্কবিতর্কে লিপ্ত হইলে বিবাদীরা উত্তেজিত হইয়া বাদীর পিতা হাসান মিয়া হাসুকে বুকে পেটে তলপেটে এলোপাথারী কিল ঘুষি ও লাথি মারিতে থাকিলে একপর্যায়ে বাদীর পিতা মাটিতে পড়িয়া অচেতন হইয়া গেলেচিকিৎসার জন্যে দ্রুত কুমুদিনী হাসপাতালে নিয়া গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার বাদীর পিতা হাসু মিয়াকে মৃত ঘোষনা করেন। উক্ত বিষয়ে বাদী রাকিব মিয়া মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর অভিযোগ দায়ের করিলে মির্জাপুর থানার মামলা নং-০২, তারিখ -০১/০৪/২৩ খ্রি, ধারা-৩২৩/৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজু করা হ্য়।
উক্ত অপরাধের তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে এসআই(নিঃ)/ মোঃ জাহাঙ্গীর আলমকে নিয়োগ করে জেলা পুলিশ টাঙ্গাইল্।তথ্য প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে তদন্তের মাধ্যমে মির্জাপুর থানা পুলিশ আসামীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে।
অভিযানে এসআই/মোঃ জাহাঙ্গীর আলম এর নেতৃত্বে মির্জাপুর থানার একটি দল বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে খুন সম্পর্কিত মামলার অপরাধে জড়িত ০১ নং আসামী সজল মিয়া উজ্জল (৩৫), পিতা- মৃত নফেজ উদ্দিন, সাং-সরিষাদাইড়, থানা-মির্জাপুর জেলা-টাঙ্গাইলকে অদ্য ০৫/০৪/২০২৩ খ্রি: তারিখ মির্জাপুর থানাধীন গোড়াই এলাকা হইতে গ্রেফতার করা হয়।তদন্ত অব্যাহত আছে।
শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম, অফিসার ইনচার্জ মির্জাপুর, থানা, টাংগাইল জানান যে, আসামীকে শীঘ্রই বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হচ্ছে। মির্জাপুর থানার গ্রেফতার অভিযান অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।