জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি মো. সাইদুল ইসলাম সাইদ এর বিরুদ্ধে সংগঠনটির সাংগঠনিক সম্পাদক তৌফিকুল হাসান হৃদয়কে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন।
সংগঠনটির সূত্র হতে জানা যায়, রমজান মাসে তেমন কোনো ডিবেট প্রোগ্রাম নেই ডিবেটিং সোসাইটির। তাদের যে মেসেঞ্জার গ্রুপ ছিল সেটা থেকে নোটিফিকেশন না পাওয়ায় সেখান থেকে লিভ নেন মারধরের শিকার হৃদয়। তাদের কমিটির মেয়াদও শেষ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ডিবেটিং সোসাইটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের ১৩তম আবর্তনের শিক্ষার্থী তৌফিকুল হাসান হৃদয় মঙ্গলবার (৪ মার্চ) বিকেল তিনটা বিশের দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্ত্বরে হেঁটে যাচ্ছিলেন। এসময় এই মারধরের ঘটনা ঘটে। সংগঠনটির সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ১২তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মো. সাইদুল ইসলাম সাইদ ভুক্তভোগী হৃদয়ের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। সেইসময় ভুক্তভোগীকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসা ডিবেটিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাজুর হাত কেটে যায়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী হৃদয় মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী হৃদয় জানান, ‘গ্রুপ থেকে লিভ নেয়ার সূত্র ধরে শান্ত চত্ত্বরে যখন সাইদ ভাইয়ের দেখা হয় তিনি সরাসরি আমার মাথায় কিল-ঘুষি মারা শুরু করে। প্রথমে হাত দিয়ে এবং পরে জুতা খুলে মারা শুরু করে। জুতাটিও হাত থেকে পড়ে গেলে আরেকটা জুতা খুলে মারা শুরু করে। আমি মাটিতে পড়ে যাই। তারপরেও তিনি ক্ষান্ত না হয়ে রফিক ভবনের পাশে থেকে একটি লাঠি নিয়ে এসে মারা শুরু করে। এসময় সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক আটকানোর চেষ্টা করেন। এসময় অনেকেই সেখানে উপস্থিত ছিল। একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েও জনসমক্ষে আমাকে জুতা দিয়ে মার খেতে হলো, আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’
এবিষয়ে অভিযুক্ত মো. সাইদুল ইসলাম সাইদেকে মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আমি এই বিষয়ে সাইদের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্তচত্বরে হৃদয়ের সাথে চর-থাপ্পরের ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’