আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপির সমালোচনা করে বলেছেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি বিএনপির শ্রদ্ধাবোধ নেই। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রতি কোনো শ্রদ্ধাবোধ নেই বলেই বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে অবৈধ-অনির্বাচিত সরকার বলার ধৃষ্টতা দেখাতে পারেন।
বুধবার (৩ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। গণমাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মিথ্যা বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতেই এই বিবৃতি প্রদান করা হয়। ওবায়দুল কাদের বলেন, বিগত সময়ে সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী নির্বাচন হয়েছে এবং দেশের জনগণ তাতে আওয়ামী লীগের পক্ষে রায় দিয়েছে। জনগণের রায়ের ভিত্তিতেই আওয়ামী লীগের সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয়।
তিনি বলেন, জাতির পিতার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যখন সকল খাতে ঈর্ষণীয় সাফল্যের পাশাপাশি বিশ্বসভায় আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয় তখন এদেশের স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি সুগভীর ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশের মানুষের উপর নেমে আসে অকথ্য অত্যাচার-নির্যাতন ও দীর্ঘ স্বৈরশাসনের স্টিম রোলার। মুখ থুবড়ে পড়ে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক সকল খাত। নিষ্ঠুর সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানের বুটের তলায় পিষ্ট হয় এদেশের মানুষের মৌলিক অধিকারসহ সকল গণতান্ত্রিক অধিকার। সেখান থেকে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেন এবং তাঁর নেতৃত্বে গঠিত সরকারই হয়ে ওঠে জনগণের সরকার। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বেই এদেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন ঘটতে শুরু করে।
তিনি বলেন, বিএনপি মহাসচিব দুনীতি ও অর্থপাচার নিয়ে কথা বলেছেন! এটা ভূতের মুখে রাম নাম ছাড়া কিছু নয়। তাদের নেতা দুর্নীতির বরপুত্র তারেক রহমান হাওয়া ভবন খুলে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য কায়েম করেছিল; লুটপাট ও অর্থপাচারকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিল।