এতক্ষণে অরিন্দম কহিলো বিশদেঃ- আবারঃ-
কাঙালের কথা বাসি হইলে ফলেঃ-এবং
সত্যের জয়, দু’দিন পর হইলেও হয়।।
খবরে দেখলাম উপজেলা পরিষদে ইউএন’র ক্ষমতা খর্ব বা বন্টনই বলিঃ- অর্থাৎ ক্ষমতার ভারসাম্যতা আনা হলো। এই কামতো ১৯৮৫ সালেই মরহুম রাষ্ট্রপতি হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদ করেই রেখেছিলেন,যখন উপজেলা প্রতিষ্ঠা করেন। মধ্যিখানে ননদ-ভাবীর মান-অভিমানে সাধারণ জনগণকে উপজেলা’র বিভিন্ন সেবা গ্রহণের সুযোগ থেকে বঞ্চিত রাখলেন।
*এখন কথা হলো ক্ষমতার ভারসাম্য করতে গিয়ে যদি, বিসিএস ক্যাডার চৌকস উপজেলা নির্বাহি অফিসার ও তথাকথিত স্ব-শিক্ষিত কোনো প্রাক্তন দলীয় ক্যাডারের মাঝে ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়,তখন জনগণের কি হবে? ***
এরপর রয়েছেন স্থানীয় সাংসদ যিনির পছন্দের উপর নির্ভর করে প্রশাসনের কর্তা ব্যাক্তিদের, তাঁর এলাকায় চাকরি করা না করা।
এরপর স্থানীয় সাংসদ কার পক্ষে থাকবেন? টিএনও নাকি উপজেলা চেয়ারম্যানের পক্ষে। তবে এটুকু বলতে পারি নিজ দলীয় হলে অবশ্যই টিএনও’র বিরুদ্ধে অবস্থান ৮০%। আর অন্যদল বা স্বতন্ত্র উপজেলা চেয়ারম্যান হলে অবশ্যই টিএনও’র পক্ষে থাকবেন ১০০%। ( এরকম বাস্তব অভিজ্ঞতা আমার আছে ১৯৮৫ সাল)।
ইহারও উপর বিভিন্ন বৈধ-অবৈধ ব্যবসায়ী পরিচালিত মিডিয়া নামের কলঙ্কিতরা, জানিনা বাংলাদেশে কতটা টিভি চ্যানেলে ও পত্রিকার মালিকানা আছে। তাদের নিরপেক্ষতার অবস্থান কোন দিকে যাবে? ইউএনও নাকি উপজেলা চেয়ারম্যান?
বাংলাদেশের প্রিন্টিং মিডিয়া ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া ইদানীং যে নির্লজ্জ চাটুকারিতা দেখিয়ে যাচ্ছে , এতে সাধারণত জনগণ যে, বিরক্তি প্রকাশ করে সোসিয়্যাল মিডিয়ায়ার উপর নির্ভরশীল হচ্ছে। এই দায়ভার কে নিবে?? কার উপর বর্তায়?
সোসিয়্যাল মিডিয়ার বদৌলতে কত দূর্নীতি, খুন, লুট,ধর্ষণ, সরকারি জমি দখল, সন্ত্রাসী, ডাকাত…. সাধারণ জনগণের নজরে আসছে। (লিষ্টটা অনেক লম্বা) এদের খবর কিন্তু সোসিয়্যাল মিডিয়াই দিয়ে যাচ্ছে এবং পাবলিক সজাগ হচ্ছে।
তথাকথিত প্রিন্টিং মিডিয়া ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার চাটুকার ও গদি মিডিয়ার সাংবাদিকরা অনেক খবরকে কবর দিতে পিছপা হয়না।
তথাকথিত গদি বা চাটুকার মিডিয়ার লোকজন যখন নিজেদেরকে সাংবাদিক পরিচয় দেয়, তখন বিশ্বের সাংবাদিকতায় পড়ুয়া সাংবাদিকরা মুখ টিপে হাসতে বাধ্য হয়।।।
আমাদের দেশের সাংবাদিকরা চার ভাগে বিভক্তঃ-
ক) চতুর ও চাটুকার সাংবাদিক।
খ) সরাসরি খড়গহস্ত মোসাহেব সাংবাদিক।
গ) বঞ্চিত মধ্যপন্থী মিউ মিউ সাংবাদিক।
ঘ) সত্যের দর্পন সাংবাদিক। (তারা অসহায়)।
কঃ–গ্রুপের সাংবাদিকরা সরকার ও প্রশাসনের আনুকূল্য পাওয়া অধিকার হয়ে যায়। রাষ্ট্রীয় পটপরিবর্তনেও তাদের কোনো লোকসান হয়না।
খঃ– গ্রুপের সাংবাদিকরা অনেকটা গৃহপালিতের মত। এরা সরাসরি গদী মিডিয়া, দলের গুণকীর্তনে নিবেদিত থেকে আপন আখের গোছাতে গিয়ে নিজেরাই নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ে। এরা আবার গড ফাদার নিয়ন্ত্রিত।
গঃ- গ্রুপের সাংবাদিকর লবনের মত, সব তরকারিতেই প্রযোজ্য। সাংবাদিকদের আভ্যন্তরিন নির্বাচনকালীন সময়ে এদের কদর চোখে পড়ার মত।
ঘঃ–গ্রুপের সাংবাদিকগন আল্লার হাওলা।
এন আর ডি টিভি আছে থাকবে সব সময় সব জায়গায় আপনাদের সেবায়।