চট্টগ্রাম বন্দরের ইয়ার্ড থেকে পণ্যভর্তি দুটি কন্টেইনার চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় আটজনকে আটক করা হয়। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটে গত বন্দরের সাউথ কন্টেইনার ইয়ার্ডে।
আটকদের মধ্যে দুজন হলেন বন্দরের পরিবহন বিভাগের কর্মচারী আবদুল হাকিম ও সিকিউরিটি গার্ড কাজী আবু দাউদ। এ ছাড়াও দুজন আনসার সদস্য রয়েছেন, অন্য চারজন কন্টেইনারবাহী লরিচালক এবং হেলপার। তবে ওই চক্রের সঙ্গে বন্দরের আর কেউ জড়িত রয়েছে কি না, তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
আটকদের বিরুদ্ধে বন্দরের নিরাপত্তা বিভাগের এএসআই মারুফ হোসেন বাদী হয়ে ইপিজেড থানায় করেছেন।
মামলায় উল্লেখ করেন যে বন্দরের ইয়ার্ড থেকে দুটি কন্টেইনার অবৈধভাবে বের করে নেয়ার সময় তাদের বাধা দেয়া হয়। কিন্তু বাধা উপেক্ষা করে তারা চলে যাওয়ার পাশাপাশি বন্দরের অন্যান্য নিরাপত্তা কর্মীদের মারধর করেন। পরে ঘটনাস্থল থেকে আটজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।
সিএমপি সহকারী কমিশনার (বন্দর) মো. মাহমুদুল হাসান জানিয়েছেন , জব্দ করা কন্টেইনার দুটির মধ্যে একটিতে প্লাস্টিকের দানা এবং অপরটিতে থান কাপড় রয়েছে। উদ্ধার করা পণ্যের বাজারমূল্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা। মূলত বন্দরে শুল্ক ফাঁকির ঘটনায় আটক পণ্যভর্তি কন্টেইনারগুলো পতেঙ্গার সাউথ কন্টেইনার ইয়ার্ডে এনে রাখা হয়েছিল। এখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থার কিছুটা শিথিলতা থাকায় সেই সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করে অপরাধীরা।
তিনি আরও জানিয়েছেন তিনটি কন্টেইনার চুরির জন্য তিনটি ট্রেলর ঢোকানো হয় ইয়ার্ডে। বন্দরের নিরাপত্তারক্ষী এবং আনসার সদস্যদের সহযোগিতায় দুটি কন্টেইনার তারা ট্রেলরে তুলেও নিয়েছিল। তবে এই চুরির চেষ্টার সঙ্গে বন্দরের আর কোনো কর্মকর্তা কিংবা কর্মচারী জড়িত কিনা তা অনুসন্ধান করছে পুলিশ বলে জানান সিএমপির ইপিজেড থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবদুল করিম।
সাম্প্রতিক সময়ে চট্টগ্রাম বন্দরের জাল নথিপত্র দিয়ে কন্টেইনার খালাস করে নেয়ার ঘটনা ঘটলেও প্রকাশ্যে চুরির ঘটনা এবারই প্রথম ঘটেছে। এ ঘটনায় তিনটি ট্রেলার জব্দ করা হয়েছে। তবে বন্দর থেকে মদভর্তি কন্টেইনার পাচারের ঘটনায় বরখাস্ত করা নিরাপত্তারক্ষী মোজাম্মেল হোসেন রবিন এই চক্রের মূলহোতা বলে জানা যায় বন্দর কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে।
নিত্যনতুন খবর পেতে আমাদের ওয়েব সাইট ভিজিট করুন : NRD News