সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জে হাওড়বেষ্টিত দুই উপজেলায় বিশুদ্ধ পানির অভাবে নদ-নদীর দূষিত পানি ব্যবহার করে দৈনন্দিন কাজ করেন লোকজন।এতে করে বিভিন্ন ধরণের পানি বাহিত রোগে আক্রান্ত হন তারা।তাছাড়া স্যানিটারি ল্যাট্রিন স্থাপনের সামর্থ না থাকায় খোলা স্থান বা বাঁশের ঝুলন্ত খোলা টয়লেট ব্যবহার করে থাকেন।এবার সেই দুই উপজেলার মানুষের জন্য রয়েছে সু-খবর।হাওড়বেষ্টিত জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলায় এক লাখ মানুষ পাচ্ছেন বিশুদ্ধ পানি।
সরকার অতিদরিদ্র পরিবারের বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন নিশ্চিতে পাঁচ হাজার ৮০০ নলকূপ নির্মাণ করেছে। এ ছাড়া আট হাজার ৮৩০ অফসেট টুইনপিট ল্যাট্রিনও পেয়েছেন হাওড়বাসী। এতে করে ঘুচেছে পানির কষ্ট; জীবনযাত্রার মানেরও কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে।
জয়কলস গ্রামের সফতেরা বিবি জানান, শুষ্ক মৌসুমে নদ-নদী খাল-বিল ডোবা পুকুরের পানি শুকিয়ে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ ও জগন্নাথপুর উপজেলায় বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দেয়।
আকলিমা আক্তার বলেন, পরিবারের নারীরা হেঁটে দূর-দূরান্ত থেকে এক বেলা খাবার পানি সংগ্রহ করতেন। যাবতীয় সাংসারিক কাজে ব্যবহার করতেন নদী পুকুর ডোবার দূষিত পানি। এতে পানি বাহিত রোগে আক্রান্ত হতেন তারা। স্যানিটারি ল্যাট্রিন স্থাপনের সামর্থ না থাকায় বাঁশের ঝুলন্ত খোলা টয়লেট ব্যবহার করতেন।এতে তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি অনেক বেড়ে যেত।
সরকারের উদ্যোগে পল্লী এলাকায় নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্পের আওতায় ৯৯ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থাপন করা হয়েছে গভীর নলকূপ ও নির্মাণ করা হয়েছে স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন।
এদিকে শান্তিগঞ্জ উপজেলার ঘনবসতিপূর্ণ গ্রাম জয়কলস উজানীগাঁও। নদী ও হাওড়বেষ্টিত এই গ্রামে দরিদ্র মানুষের জন্য ছিল না বিশুদ্ধ পানি ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেটের ব্যবস্থা।এখন ৫টি পরিবারের জন্য একটি টিউবওয়েল ও দুটি পরিবারের জন্য একটি স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন রয়েছে। হতদরিদ্র পরিবারের নারীরা বেশির ভাগ গৃহস্থালির কাজে নলকূপের পানি ব্যবহার করেন। তবে পরিবারের লোকসংখ্যার অনুপাতে টিউবওয়েল কম থাকায় পানি নিতে একটু সমস্যায় পড়েন তারা।
সুনামগঞ্জ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কাসেম বলেন, প্রকল্পের কাজ ৮০ ভাগ শেষ হয়েছে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর জানায়, প্রকল্পটি ২০১৯ সালে শুরু হয়েছে মেয়াদ শেষ হবে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে।