সিলেট প্রতিনিধি: পাবনা থেকে আসা একটি গাড়িতে সিলেটে প্রবেশ করছে ভেজাল দুধ। এমন খবর পেয়ে দুধবহনকারী সাড়ে ৩ হাজার লিটারের গাড়িসহ দুজনকে আটক করে ডেইরী ফার্ম ব্যবসায়ী ও জনতা।পরে পুলিশ এসে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করে গাড়িসহ আটক দুজনকে ছেড়ে দেয় এবং ৪ লিটার দুধ জব্দ করে।ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার( ১৪এপ্রিল) সিলেটের দক্ষিণ সুরমার চন্ডিপুল এলাকায়।
জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে পাবনাসহ দেশের বিভিন্নস্থান একশ্রেনীর অসাদু ব্যাবসায়ীরা ক্যামিকেল নির্মিত বিষাক্ত দুধ সরবরাহ করছে সিলেটে।শুক্রবারও এমন একটি গাড়ি সিলেটে প্রবেশ করছে বলে খবর পান সিলেট ডেইরি ফার্মাস এসোসিয়েশন’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মো.খালেদ হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুর রহমান।পরে তারা স্থানীয় জনসাধারণ নিয়ে ভেজাল দুধ রয়েছে বলে সাড়ে ৩ হাজার লিটার একটি দুধ বহনকারী গাড়িসহ দুজনকে আটক করেন।খবর পেয়ে দক্ষিণ সুরমা থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আটককৃত দুজনকে দীর্ঘ সময় জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং ভেজাল রয়েছে কি না তা জানতে চার লিটার দুধ জব্দ করে গাড়িসহ আটকৃত দুজনকে ছেড়ে দেয়।
এব্যাপারে সিলেট ডেইরি ফার্মাস এসোসিয়েশন’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মো.খালেদ হোসেন বলেন, একশ্রেনীর অসাদু ব্যাবসায়ীরা ক্যামিকেল নির্মিত বিষাক্ত দুধ সরবরাহ করছে বলে আমরা জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরকে জানিয়েছি।কিন্তু কেউ কোনো পদক্ষেপ নেননি।দুইদিন ধরে গাড়ি ফলো করে আমরা আজ বাধ্য হয়ে গাড়িসহ দুজনকে আটক করি।
তিনি বলেন, নগরীর মিরাবাজারে মিলন নামে এক ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন থেকে পাবনা থেকে ক্যামিকেল নির্মিত বিষাক্ত দুধ সরবরাহ করছে।কিছুদিন পূর্বে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র তাকে ডেকে এনে সচেতন করেন।কিন্তু সে তা পাত্তা না দিয়ে বিষাক্ত দুধ সরবরাহ করছে।এই বিষাক্ত ক্যামিকেল দুধ দিয়ে নির্মিত মিষ্টান্ন সামগ্রী আমরা প্রতিনিয়িত খাচ্ছি। দামে কম হওয়ায় মিষ্টি উৎপাদরকারী প্রতিষ্ঠানগুলো পাবনার কালো দুধ ব্যাবহার করছে যা মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
তিনি আরও বলেন, ভেজালের বিষয়টি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিলেটকে বিষয়টি অবগত করি এবং দক্ষিণ সুরমা থানাকে।পুলিশ চার লিটার দুধ পরীক্ষার জন্য রেখে বাকি দুধসহ দুজনকে ছেড়ে দিয়েছে।
এব্যাপারে দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শামসুদ্দোহা (পিপিএম) বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দুধের গাড়ি আটকায়।দুধে ভেজাল কিনা তা আমরা জানি না।কারণ আমরা সে বিষয়ে এক্সপার্ট না।দুধ পঁচনশীল দ্রব্য এটা আটকে রেখে কাজ চালানে সম্ভব না।আমার চার লিটার দুধ জব্দ করেছি ভোক্তা অধিকার এলে পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সিলেট কার্যালয়ের (মেট্রো) সহকারী পরিচালক শ্যামল পুরকায়স্থ বলেন, বিষয়টি আমাদেরকে জানানো হয়েছে।কিন্তু এইটা আসল না নকল তা পরীক্ষা করবে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।পরীক্ষায় প্রমাণিত হলে পরবর্তী পদেক্ষেপ নিতে পারি।কিন্তু পরীক্ষা ছাড়া তো আমরা কোনো কিছু করতে পারি না।