স্টাফ রিপোর্ট :সিলেট নগরীর চৌহাট্টায় ঝটিকা মিছিল থেকে আটক হওয়া আট ছাত্রদল নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও ১৫০-২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২ মে) রাতে হযরত শাহজালাল (র.) তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (এসআই) কাজী জামাল উদ্দিন বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
বুধবার(৩মে) বিকালে এনআরডি নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোহাম্মদ আলী মাহমুদ।
মামলায় এজাহারনামীয় আসামিরা হলেন, ওসমানী নগরের গোয়ালাবাজার ইউপি ছাত্রদলের সদস্য জুনায়েদ হোসেইন (৩০), মহানগর ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন (৩৪), সদর উপজেলা যুবদলের সদস্য রাজু আহমদ (৩৮), সিলেট সদর উপজেলার এয়ারপোর্ট থানাধীন লাখাউড়া এলাকার মৃত আবুল মিয়ার ছেলে কামরুল হাসান (২৫), মহানগর ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম টিপু (৩৮), নগরের বনকলাপাড়া ৪৬ নং বাসার মৃত জামাল উদ্দিন খানের ছেলে পারভেজ খান জুয়েল (৩৯), সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরের হালাবাদি গ্রামের রবিউল আউয়ালের ছেলে সাইফুল ইসলাম সোহাগ (২০) এবং তাহিরপুর উপজেলার সুন্নামপুর গ্রামের আকবর মিয়ার ছেলে ও নগরের কানিশাইল সজিব মিয়ার কলোনীর বাসিন্দা মো. হাফিজুর (২৫)।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাত ১৫০-২০০ উশৃঙ্খল নেতাকর্মী খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গ্রেফতার হওয়া ২নং আসামির নেতৃত্বে নগরের চৌহাট্টা পয়েন্টে সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এ সময় সরকার বিরোধী উস্কানিমূলক স্লোগান দিচ্ছিলেন তারা। ঘটনার সময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের শান্ত হওয়ার জন্য বললে তারা উত্তেজিত হয়ে সকারি গাড়িতে বাধা দেয় এবং হত্যার উদ্দেশ্যে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
পরে ঘটনাস্থল থেকে ৮ জনকে আটক করা হয়।আলামত হিসেবে সেখান থেকে ১৮টি বাঁশের লাঠি ও ১৫ ইটের টুকরো জব্দ করা হয়েছিল।
এদিকে, আটককৃতদের বুধবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।