বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথের মৌলভীরগাঁয়ে বাড়ির রাস্তায় দুই প্রবাসী জোরপূর্বক গেইট নির্মাণ করে চলাচলে বাধা দেওয়ায় অপর প্রবাসীসহ ১০টি পরিবারের প্রায় শতাধিক লোকজন এখন গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।
২২ এপ্রিল ঈদুল ফিতরেও নিজ বাড়িতে যেতে পারেননি জামাল আহমদ নামের এক যুক্তরাজ্য প্রবাসী ও তার পরিবারের লোকজন। সেই সুযোগে মৌলভীরগাঁওয়ের জামাল আহমদ পক্ষের লোকজনের বোরো ধানও কেটে নিয়েছেন একই গ্রামের প্রতিপক্ষের মবুর মিয়া ও কয়ছর মিয়া পক্ষ।
এমন অভিযোগ এনে মঙ্গলবার বিকেলে সিলেটের বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জামাল আহমদসহ ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন।
সংবাদ সম্মেলনে তাদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন একই গ্রামের ছাব্বির আহমদ।
লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়েছে, মৌলভীরগাও গ্রামের ওই রাস্তা দিয়ে পাকিস্তান আমল থেকে প্রবসী জামাল আহমদের পরিবার ও প্রতিপক্ষ মবুর, কয়ছরসহ বাড়ির প্রায় ১২টি পরিবারের শতাধিক লোকজন চলাফেরা করে আসছেন।
সম্প্রতি কয়ছর মিয়া ও মবুর মিয়া ওই রাস্তায় গেইট নির্মাণ করে নামফলক লাগিয়ে অন্যদের চলাচলে বাধা দেন। প্রতিনিয়ত গালিগালাজ ও হুমকি ধামকির কারণে ওই ১০ পরিবারের লোকজন গৃহবন্দি হয়ে পড়েছেন।এ নিয়ে সম্প্রতি বিচার শালিস করা হলেও তা মানতে নারাজ কয়ছর ও মবুর পক্ষ।
একপর্যায়ে বিশ্বনাথ থানা পুলিশের মধ্যস্থতায় রাস্তা দিয়ে উভয় পক্ষের চলাচলের সুবিধাদি উল্লেখসহ কারো নামে গেইট নির্মাণ করা যাবে না মর্মে আরও শর্ত আরোপ করে একটি স্মরণলিপি করা হয়। কিন্তু তা না মেনে গেইটে নিজেদের নামের নামফলক স্থাপন করে চলাচলে বাধা দেন কয়ছর ও মবুর পক্ষ। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মামলা চলমান রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উল্লেখ করা হয়, কয়ছর মিয়া ও মবুর মিয়া একে আপরের চাচাতো ভাই এবং কয়ছর মিয়া মবুর মিয়ার বোনজামাই। তারা ও তাদের ভাই-ভাতিজারা সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ প্রকৃতির লোক হওয়ায় তাদের নামে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী, চুরি, ডাকাতিসহ প্রায় ৮টিরও বেশি মামলা ছিলো। এমনকি মবুর মিয়ার ভাই লেবু মিয়ার একটি মামলায় কয়ছর মিয়া ৫ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে দীর্ঘ ২০ বছর পলাতক ছিলেন। বর্তমানে সাজাভোগ করে এলাকায় আবারও প্রভাব বিস্তার করে নানা অপকর্ম ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে এলাকার সাধারণ মানুষও আতংকে রয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাইকুল ইসলাম ও মৌলভীর গাঁও গ্রামের সিরাজ আলী।