রোববার (২ এপ্রিল) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ১৬তম বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি।
তিনি বলেন, ‘অটিস্টিক শিশুদের এক সময় অভিশাপ ও বোঝা মনে করা হতো। কিন্তু এই শিশুদের বিশেষ ক্ষেত্রে বিশেষ দক্ষতা রয়েছে। আমাদের উচিত তাদের এ দক্ষতাগুলো বের করে আনা। এ শিশুরাও আমাদের সমাজে অবদান রাখতে পারে।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ ধরনের বিশেষ শিশুদের পাবলিক পরীক্ষার খাতা ভিন্নভাবে মূল্যায়ন করা হয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে তাদের বয়স শিথিল করারও চিন্তা করা হবে।
অটিজম বিষয়ে সচেতনতা তৈরির গুরুত্বারোপ করে ডা. দীপু মনি বলেন, অটিজম বিষয়ে আগে সারা বিশ্বেই তেমন সচেতনতা ছিল না। আত্মীয়দের কাছ থেকেও গোপন করা হতো। এই বাচ্চাদের স্বাভাবিক জীবনযাপনের সুযোগ দেয়া হতো না। কিন্তু এ বিষয়ে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হয়েছে। বাংলাদেশ এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে।
আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ বিভাগের সচিব সোলেমান খান, সূচনা ফাউন্ডেশনের সিইও ডা. সাকী খন্দকার। এ ছাড়া বক্তব্য দেন ন্যাশনাল একাডেমি ফর অটিজম অ্যান্ড নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিজঅ্যাবিলিটিস (নান্ড) প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক প্রফেসর দিদারুল আলম।
মাধ্যমিক ও উচ্চ বিভাগের সচিব সোলেমান খান বলেন, অটিজম কোনো রোগ নয়। এটি নিউরোলজিক্যাল একটা সমস্যা। এর ফলে কমিউনিকেশনে সমস্যা হয়। বিভিন্ন উদ্দীপকে সাড়া দিতে সমস্যা হয়। কিন্তু এ শিশুরা মেধাবী। তাদের মেধা বিকাশে পরিবার ও সমাজের দায়িত্ব রয়েছে। যেন এই শিশুরা তাদের মেধা ও যোগ্যতা অনুযায়ী দেশের জন্য কন্ট্রিবিউট করতে পারে।