গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টায় রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। তিনি দীর্ঘদিন কিডনি জটিলতায় ভুগছিলেন। বার্ধক্যজনিত সমস্যাও দেখা দিয়েছিল তাঁর। ৫ এপ্রিল তাঁকে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। শারীরিক অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় গত রোববার তাঁর চিকিৎসায় একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে লাইফ সাপোর্টে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল।
গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের প্রধান কিডনি বিশেষজ্ঞ ও ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রধান চিকিৎসক অধ্যাপক মামুন মোস্তাফী রাত ১১টা ৩৫ মিনিটে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুর খবর আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন। জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মৃত্যুর খবর শুনে মধ্যরাতে হাসপাতালে ছুটে যান বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক–সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা। তাঁর শুভান্যুধায়ীরাও হাসপাতালে ভিড় করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও তাঁর মৃত্যুতে প্রচেষ্টা স্বেচ্ছাসেবক ফাউন্ডেশন গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন।
প্রচেষ্টা স্বেচ্ছাসেবক ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মোঃ আঃ মান্নান গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন উনার মত একজন গুণী বিশেষজ্ঞ মানুষের মৃত্যুতে দেশের স্বাস্থ্য সেবা খাতের অপূরনীয় ক্ষতি হলো।
জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জন্ম ১৯৪১ সালের ২৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার কোয়েপাড়া গ্রামে। তাঁর বাবা হুমায়ন মোর্শেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা। মা হাছিনা বেগম চৌধুরী ছিলেন গৃহিণী। মা–বাবার ১০ সন্তানের মধ্যে জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন সবার বড়।