বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা রাষ্ট্রপতিকে সম্মান করি। তবে সংবিধানের অধীনে তার খুব বেশি কর্তৃত্ব নেই। আমাদের সুখের ইতিহাস নেই। রাষ্ট্রপতির কাছে নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব পেশ করেছি। আমি তাকে একটি বিশেষ পরামর্শও দিয়েছিলাম। দুর্ভাগ্যবশত, তিনি তাদের কোনো কাজে লাগাতে পারেননি। তার সেই কর্তৃত্বের অভাব রয়েছে। ফলে তিনি সংলাপের জন্য চাপ দিচ্ছেন বলে সবাই বিশ্বাস করেন। তবে তিনি সরকারের লিখিত বক্তব্য পড়েছেন বলে আমাদের বিশ্বাস।
শনিবার বিকেলে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘তার পরও বলব ওখানে রাষ্ট্রপতির একটা কথা আছে যেটা আমার ব্যক্তিগতভাবে ভালো লেগেছে। তিনি (রাষ্ট্রপতি) বলেছেন, গণতন্ত্রহীন উন্নয়ন সর্বজনীন হয় না। এ কথাটা ভালো। আরেকটা কথা তিনি বলেছেন, সংঘাত দিয়ে, প্রতিহিংসা দিয়ে কখনো গণতন্ত্র প্র্যাকটিস করা যায় না। এই কথাগুলো ভালো। কিন্তু যারা প্র্যাকটিস করছেন তারা নিঃসন্দেহে বুঝতে পারছেন, গণতন্ত্রের প্র্যাকটিস তো সেখানে নেই। বরং কী করে গণতন্ত্রকে ধবংস করা যায় সেটা তারা প্র্যাকটিস করছেন।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন “সরকার যদি সংঘাত এড়িয়ে এগিয়ে যেতে চায়, তাহলে সবার আগে বিরোধী দলগুলোর দাবি পূরণ করতে হবে।” তিনি বলেন, সরকারকে আগে পদত্যাগ করে আলোচনায় বসতে হবে। অথবা, অন্যভাবে বলতে গেলে, আমাদের অবশ্যই আত্মসমর্পণ করতে হবে এবং দর কষাকষি করতে হবে।
আমরা প্রতিটি কৌশল ব্যবহার করেছি, তিনি ঘোষণা করেছেন। তাদের কথায় আমি ২০১৮ সালের নির্বাচনে গিয়েছিলাম। যা ঘটেছে তা সবাই প্রত্যক্ষ করেছে। আমরা কিছুদিন ধরে আপনার পদত্যাগের অনুরোধ করছি। এটা (সিদ্ধান্ত) হোক যে আমি পদত্যাগ করব, তারপর আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলতে পারি।
তাদের ওপর আস্থা রাখার বিষয়ে কোনো সন্দেহ থাকতে পারে না, তারা পদত্যাগ না করলে দল আলোচনায় বসবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব জবাব দেন। প্রথমে পদত্যাগ করতে হবে। আমাকে বলতে হবে যে আমি পদত্যাগ করছি। তারপর কথোপকথন।
এনআরডি টিভির পক্ষ থেকে সবাইকে মাহে রমজানের শুভেচ্ছা।