জনগণ যাতে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে, সেজন্যই সরকার নির্বাচন কমিশনকে ‘স্বাধীন করে দিয়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে কী পরিমাণ কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে, সে সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনই নেবে।
দেশের স্থিতিশীলতার জন্য আগামী নির্বাচন ‘সুষ্ঠু ও অবাধ’ হওয়া দরকার মন্তব্য করে তিনি বলেন, “এখানে মনে রাখতে হবে, আওয়ামী লীগ সরকারই নির্বাচন কমিশন নিয়োগের আইন করে দিয়েছে। স্থিতিশীলতার জন্য যেটা দরকার নির্বাচনটা যাতে সুষ্ঠু ও অবাধ হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, “নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ণ অবাধ, নিরপেক্ষ করেই আমরা গড়ে তুলেছি। এই কারণে জনগণ ভোটের অধিকার জনগণ প্রয়োগ করবে, জনগণ যাকে খুশি ভোট দেবে, সেটাতো আমাদেরই স্লোগান।”
“নির্বাচন কমিশন সবসময় প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিল, অর্থনৈতিকভাবে নির্ভরশীল ছিল। আমরা কিন্তু সেখান থেকেও তাদেরকে স্বাধীন করে দিয়েছি, বাজেটে তাদের অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়, সেখান থেকে তারা খরচ করতে পারবে। তাদেরকে আর্থিক যে স্বাতন্ত্রতা সেটা কিন্তু আমরা দিয়ে দিয়েছি।”
তিনি বলেন, “ইভিএম করতে চেয়েছিলাম, কারণ সবাই ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভোট দেবে, খুব দ্রুত রেজাল্ট পাবে, অনেকেরই আপত্তি, যখন সবাই এত আপত্তি, তখন ঠিকাছে, এটা নির্বাচন কমিশনের উপরে, যতটুকু তারা পারে করবে। তবে, করতে পারলে ভালো হত আমি মনে করি। অন্তত মানুষ তার ভোটের অধিকারটা প্রয়োগ করতে পারত, একটা আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারত। সেটা নিয়ে যেহেতু এতো আলোচনা-সমালোচনা, এটা আমরা আমাদের নির্বাচন কমিশনের উপর ছেড়ে দিয়েছি।”