বিশ্ব ফুটবলে এখন ‘টক অব দ্য টাউন’ একটাই। লিওনেল মেসি ও পিএসজির সম্পর্কে ফাটল। এতটাই তেতো যে, মেসিকে আর রাখতেই চাচ্ছে না পিএসজি। কেবল ক্লাব নয়, মেসির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে একদল সমর্থক।
এই মেসিকেই কিন্তু বেশ জাঁকজমকের সঙ্গে বার্সেলোনা থেকে প্যারিসে নিয়ে আসেন পিএসজির ডিরেক্টর নাসের আল খেলাইফি। তাহলে মাত্র দু’বছরের ব্যবধানে কী এমন হলো, চোখের মণি থেকে মেসি হয়ে গেলেন পিএসজির চোখের বালি?
ফুটবলের ভদ্রবালক মেসিও কেন ক্লাব কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে পাড়ি জমালেন সৌদি আরবে? শুধু একটি নয়, এর পেছনে আছে অনেকগুলো কারণ।
আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে সৌদি আরবের অবস্থান খুব একটা ভালো নয়। বিভিন্ন বিষয়ে পশ্চিমাদের কাছে সৌদির গ্রহণযোগ্যতা কম। মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম ধনী এই দেশটি চাচ্ছে নিজেদের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনতে। তাই সবার আগে খেলাধুলার দিকে নজর দিয়েছে তারা। বিশেষ নজর দিয়েছে সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রীড়া ইভেন্ট ফুটবলের দিকে। এরই মধ্যে মেসিকে সৌদি তাদের পর্যটনদূত বানিয়েছে। সৌদি প্রো লিগের দল আল হিলালে মেসির যাওয়াটা প্রায় নিশ্চিত। এই বিষয়টিকে কোনোমতেই ভালো চোখে দেখছে না ফ্রান্স। মেসির প্রতি ক্ষুব্ধ হওয়ার অন্যতম কারণ এটি। তাছাড়া পিএসজির মূল মালিকও কাতারের। দুই আরব দেশের মধ্যকার প্রতিযোগিতাও এখানে একটি কারণ।
কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়েই শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছে আর্জেন্টিনা। সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মেসি। ফাইনালেও ছিলেন অসাধারণ। কিলিয়ান এমবাপ্পে সবটুকু উজাড় করে দিলেও পারেননি ফ্রান্সকে টানা দ্বিতীয় শিরোপা জেতাতে। ফরাসি ভক্তদের হৃদয় ভেঙে দেওয়া সেই ফাইনালের পর মেসিকে সেভাবে গ্রহণ করতে পারছে না প্যারিসিয়ানরা। অনেকটা যেন ঘরের শত্রু বিভীষণ হয়ে গেছেন মেসি।