টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশ হারিয়ে দেয় ইংল্যান্ডকে। দিনের পর পর দিন সমালোচনা আর ট্রলের ঝড় পেরিয়ে নাজমুল হোসেন শান্ত হয়ে ওঠেন বড় ভরসা। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ধুঁকতে থাকা মেহেদী হাসান মিরাজ হয়ে ওঠেন জয়ের নায়ক। এই সবকিছুর পেছনে আছে মানসিকতা আর সাহসিকতা। এই জায়গায় ছোট পরিবর্তনেই বড় ফল মিলেছে বলে বিশ্বাস মিরাজের।
ইংল্যান্ড যদিও সেরা দলকে পায়নি এখানে। অ্যালেক্স হেলস, লিয়াম লিভিংস্টোন, স্যাম বিলিংস, জনি বেয়ারস্টো, হ্যারি ব্রুক নেই এই সফরে। স্রেফ ১৩ জনের মধ্য থেকে একাদশ বাছাই করতে হচ্ছে তাদের। ব্যাটিংয়ের গভীরতাও নেই খুব বেশি। তবে তার পরও তারা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। যারা আছেন এই দলে, তাদের সঙ্গে বাংলাদেশ সিরিজ জিতে যাবে, খেলা শুরুর আগে এমন বিশ্বাস খুব বেশি লোকের ছিল না। এই সংস্করণে বাংলাদেশের ভোগান্তি যে বরাবরের।
সেই বাংলাদেশই চমকে দিয়েছে। শুধু মাঠের ফলাফলেই নয়, বিস্ময় উপহার দিয়েছে তারা খেলার ধরনেও। ভয়ডরহীন ক্রিকেটের ছাপ রেখেছে তারা দুই ম্যাচেই। দুটি জয়েই ছিল অভিজ্ঞতা আর তারুণ্যের দারুণ মিশেল। সাকিব আল হাসান, তাসকিন আহমেদের মতো অভিজ্ঞরা যেমন পারফর্ম করেছেন, তেমনি শান্ত, তৌহিদ হৃদয়, হাসান মাহমুদের মতো তরুণরাও মেলে ধরেছেন নিজেদের।