খুলনা বটিয়াঘাটা থানার মামলা নং ১৫ তাং ২৭/৩/২৩ ইং ধারা ৪৫৭/৩৮০/৪১১ পেনাল কোড এর পলাতক আসামী গ্রেফতারে জনাব শওকত কবির অফিসার ইনচার্জ বটিয়াঘাটা মহোদ্বযের নির্দেশে উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ- পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) জনাব আব্দুল আজিজ ও সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) মোঃ গোলাম রসুল সংগীয় ফোর্সসহ ২৮/৪/২৩ তাং সকাল ১০ ঘটিকার দিকে বাইনতলা বাজারে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আন্তজেলা গরুচোর চক্রের সক্রিয় সদস্য ১) সামছুল হুদা@ সাম(৩০) ও ২) মোজাম্মেল খান@ মোজাম্মেল (২৮) নামে দুজন গরুচোরকে আটক করেন। গরুচোর সাম খুলনা রুপসা থানার বামনডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল মালেক মোল্লার ছেলে অপর আসামী মোজাম্মেল একই গ্রামের সোহরাব খান এর ছেলে।
আটককৃত চোরেরা দেয় চঞ্চল্যকর তথ্য তারা জানায় বাগেরহাট সদর থানার চুলকাঠির ছোট সুজন, বখতিয়ার, আতিয়ার,সুখটাক,হৃদয়। কচুয়া থানার উজ্জল,কালাম। শরনশোলা থানা রায়েন্দার মতি। রামপাল থানার মিজান ও ফয়লার জামাই সুজন, ফকিরহাট থানার আলআমিন, সিএমবি বাজারের সালাম।মোড়লগন্জ থানার নোমান। খুলনা বটিয়াঘাটা থানার লক্ষীখোলার জিয়া, ভাতগাতির হাসিব। তেরখাদা থানার ওবাইদুল।সোনাডাঙ্গা থানার সজিব।রুপসা থানার বামনডাঙ্গার সাম,মোজাম্মেল।গোপালগন্জের শাওন@শাম সহ গরুচুরির কাজে ব্যবহৃত রুপসার কামরানের ২ টি বটিয়াঘাটা লক্ষীখোলার জিয়া, আল-আমীন ফকিরহাট বাগেরহাট, সুজন চুলকাটি বাগেরহাট,সালাম সিএমবি বাগেরহাট ,শাম গোপালগঞ্জ চায়না বাবুল, রগকাটা বাবুল বয়রা রায়েরমহল খুলনা, ছোট সুজন চুলকাটি বাগেরহাট। হালিম,কামরান রুপসা খুলনা সকলেরই ১ টি করে পিকাপ রয়েছে। যেগুলো পালাক্রমে গরুচুরির কাজে ব্যাবহার করে থাকে।
সঙ্ঘবদ্ধ এ চক্র ফোন আলাপ চারিতায় পূর্বনির্ধারিত জাইগাই একত্র হয়ে ৫/৭ জন করে টিম ভাগ হয়ে রাত্র ১০/১১ টার দিকে পিকাপ যোগো দেশের বিভিন্ন গ্রাম গন্জে চলে যায়। তাদের পিকাপগুলো ডালা একটু উচা থাকে যাতে বাহির থেকে সহজে দেখা না যায়। মাছের ড্রাম বা ক্যারেট পেছনে দেওয়া থাকে।
এ চক্র রাত্রগভীর হলে খুলনা বরিশাল রাজশাহী বিভাগের যেকোন গ্রাম গন্জে ঢুকে রাস্তার পাশে পিকাপ রেখে দিয়ে চোরেরা গ্রামের গোয়ালঘর থেকে গরু চুরি করে নিয়ে পিকাপে তুলে নিয়ে দেশের বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি করে থাকে ।
প্রতিটা চোরের নামে গরুচুরি ও ডাকাতির একাধিক মামলা রয়েছে বেশিরভাগ আসামীর বিভিন্ন থানায় ১০/১২ টা মামলা রয়েছে।
এরা খুলনা মহানগরীর ভেতরে বিভিন্ন ভাড়া বাসায় বসবাস করে পলাতক/ আত্বগোপনে থেকে এসব চুরির কার্যক্রম করে থাকে।
এসব গরুচোরগুলো বাববার পুলিশের কাছে গরুসহ ধরা পড়লেও তাদের বিচারের জন্য বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করলে আসামিরা কিছুদিন হাজত খেটে জামিনে বাইরে বের হয়ে দিব্যি গরুচুরি করে বেড়াচ্ছে।
“দেশের খেটে খাওয়া অসহায় গরীর মানুষদের সন্তানের মত পরম যত্নে লালন পালন করা গরুগুলো এই চোরচক্র চুরি করে নিয়ে গরুগুলো বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি করে সেই টাকায় তারা স্বপরিবারে শহরে ভাড়া বাসায় ফুর্তি আর আরাম আয়েশের জীবনযাপন করলেও চুরি যাওয়া গরুর মালিকদের গরু উদ্ধার ও বিচারের আশায় আদালতে দৌড়াতে দৌড়াতে লোকগুলোর চোখের পানি অধরায় থেকে যায়!!