মাত্র ৭ একরের ছোট্ট কিন্তু মমতায় ঘেরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই ক্যাম্পাসটি। ২০১৯ সালে নভেম্বর মাসে ভর্তি হতে এসেছিলাম এই বিদ্যাপিঠে। ভর্তির কাজ সেরে প্রথম যে ছবিটা ছিল আমার সেটা এই শান্ত চত্বরেই ছিল।সেদিন নামটা জানতাম না।
১ জানুয়ারি, ২০২০!
প্রথম নিজের ডিপার্টমেন্টে পা রাখলাম। প্রথম নিজের ক্যাম্পাস ঘুরে দেখলাম। মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর ওয়ালা ওই জায়গাটা তে বসতে শিখলাম।জানতে পারলাম এটা শান্ত চত্বর। কিন্তু কেন এই জায়গার নাম শান্ত চত্বর সেই কাহানি আজকে লিখব।
২০১১ সালের কথা
ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্র ‘মেহেদী আলম শান্ত’ ছিলেন ক্যাম্পাসের জনপ্রিয় এক মুখ। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক কার্যনিবার্হী সদস্য ছিলেন। ২০১১ সালের উপ-নির্বাচনে র আ ম
উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী (বারবার নির্বাচিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর (০৩) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য) সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পরে টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও জিয়ারতের জন্য শান্ত ভাই সহ অনেক নেতাকর্মীরা সাথে যান।
পরে ঢাকা ফেরার পথে ফরিদপুর রোডে মাইক্রো এক্সিডেন্টে ৯ জন সহ একই সাথে মারা যান শান্ত ভাইয়ের মৃত্যুতে সবাই গভীরভাবে শোকাহত হন।পরবর্তীতে তার স্মৃতি রক্ষার্থে ঐ সময়ের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দের উদ্যোগ এবং নেতৃত্বে এই স্থানটিকে
শান্ত চত্বর ঘোষণা করা হয়।
কারণ শান্ত ভাই প্রায় সময়ই ঐ স্থানে আড্ডা দিতেন এবং কর্মীদের নিয়ে বসতেন
এই শান্ত চত্বর বর্তমান শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে প্রিয় স্থান হিসেবে পরিচিত।