বিনোদন ডেস্ক: সম্প্রতি নেটফ্লিক্সে রিলিজ করেছে ‘মাসাবা মাসাবা’-র সেকেন্ড সিজন। কন্যা মাসাবা গুপ্তা-র জীবন অবলম্বনে তৈরি মজাদার ওয়েব সিরিজ ‘মাসাবা মাসাবা’-য় তাঁর রিয়েল লাইফ মা নীনা গুপ্তা বরাবরের মতো নজরকাড়া। বারবার নীনা প্রমাণ করেছেন, তিনি অপ্রতিরোধ্য।
বলিউড যখন নাবালক, সেই সময় কুমারী মা হওয়ার অপরাধে প্রায় ব্যান করে দেওয়া হয়েছিল নীনাকে। হাতে অত্যন্ত কম সংখ্যক কাজ ছিল।
একসময়ের প্রেমিক ও মাসাবার পিতা ভিভ রিচার্ডস-এর কোনোরকম সাহায্য ছাড়াই মাসাবাকে বড় করে তুলেছিলেন নীনা। বর্তমানে মাসাবা একজন বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার। তবে পাশাপাশি অভিনয়েও মন দিয়েছেন তিনি।
‘মাসাবা মাসাবা’-য় উঠে এসেছে বয়সবাদ বা এজিজমের তত্ত্ব। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে বিস্ফোরক হয়ে নীনা জানিয়েছেন, বেশ কয়েকটি প্রজেক্টে পরিচালকরা যখন নীনাকে তাঁর বিপরীতে নায়ক হিসাবে কাউকে বাছতে বলেছেন,
নীনা স্পষ্ট উত্তর দিয়েছেন, তাঁর পক্ষে অত্যন্ত কঠিন কারোর নাম নেওয়া। কারণ তাঁর সাথে নায়করা কাজ করতে চান না। তবে রাম কাপুর-এর প্রতি কৃতজ্ঞ নীনা। তিনি জানিয়েছেন, বয়সে অনেকটাই ছোট হয়েও ‘মাসাবা মাসাবা’-য় নীনার নায়ক হওয়ার সাহস দেখিয়েছেন রাম।
নীনার মতে, ইন্ডাস্ট্রির অধিকাংশ নায়করা চান, কম বয়সী নায়িকাদের সাথে অভিনয় করতে। কারণ সমাজ পাল্টায়নি। পিতৃতান্ত্রিক সমাজে নারীরা প্রায় সংখ্যালঘু। নীনার মনে হয়, এই ট্র্যাডিশন আর পাল্টাবে না।
তবে এখন নিজেকে ইয়াং মনে করেন নীনা। কারণ তাঁর আত্মবিশ্বাস তাঁর সৌন্দর্য। সাহসী নীনা অকপট হয়েছেন তাঁর আত্মজীবনী ‘সচ কহুঁ তো’-য়। লক্ষ্মণরেখা মুছে দেওয়া নীনার এই আত্মজীবনী যা সমাজের সামনে তুলে ধরেছে এক সাহসী নারীকে।