ডেস্ক রিপোর্ট:: হাইওয়ে পুলিশের প্রধান (অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক) মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেছেন, কোনো পশুবাহী গাড়ির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকলে মহাসড়কে গাড়ি থামানো যাবে না। কেউ গাড়ি থামালে বরদাশত করা হবে না। কোরবানির পশুবাহী গাড়ির গন্তব্য কোথায় সে ব্যাপারে প্রতিটি গাড়ির সামনে ব্যানার টানিয়ে চলাচলের পরামর্শ দেন তিনি।
গতকাল উত্তরায় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদর দপ্তরের কনফারেন্স রুমে ‘ঈদুল আজহা-২০২৩ উপলক্ষে মহাসড়ক নিরাপদ ও যানযটমুক্ত’ রাখার লক্ষ্যে সমন্বয় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, কোনো গরুর হাটের ভলান্টিয়ার জোর করে বা বাধা দিয়ে পশুবাহী গাড়ি কোনো হাটে ঢোকাতে পারবে না। এজন্য প্রত্যেক পশুবাহী গাড়িকে সামনে ও পেছনে গন্তব্য লিখে রাখতে হবে। তাহলে কোনো ধরনের চাঁদাবাজির সুযোগ থাকবে না। যারা যাত্রী আছেন ও পরিবহন সংশ্লিষ্ট আছেন তাদের বলছি, চাঁদাবাজি হবে না এটা নিশ্চিত থাকেন।
মো. শাহাবুদ্দিন খান বলেন, পশুবাহী ট্রাকে মাদক পরিবহন করা হয়। এ বিষয়ে আমাদের নজরদারি থাকবে। মাদক কারবারিরা যাতে কোনো ধরনের সুযোগ না পায় সেজন্য আমাদের নজরদারি ও তদারকি থাকবে।
বিভিন্ন সংগঠনের নামে চাঁদাবাজির সমস্যা সমাধান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে, হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে দৃঢ়ভাবে বলছি- চাঁদাবাজির কোনো সুযোগ নেই, থাকবে না।
যাত্রী যারা রয়েছেন, মহাসড়ক ব্যবহার করবেন। তারা একটি নিরাপদ পরিবেশ পাবেন বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এবং আমরা এটি বাস্তবায়ন করবো। সেই সঙ্গে আমরা সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
মহাসড়ক অবরোধ করে হাটের লোকজন বলপ্রয়োগ করে গরুর গাড়ি ঢুকিয়ে যানজট সৃষ্টি করে, এমন অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের ইন্টেলিজেন্সের তথ্যমতে আমরা এই সমস্যার বিষয়টি জানতে পেরেছি। তাই আমরা জেলা পুলিশ, মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং অন্যান্য যারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য রয়েছেন, যারা অংশীজন রয়েছেন, আমাদের এটা নিশ্চিত করবেন। যাতে কোনো হাটে কোনো সদস্য সে ভলান্টিয়ার হোক বা অন্য কোনো লোকই হোক কোনো গরুর গাড়ি জোরপূর্বক বাধা দিতে পারবে না।
হাইওয়ে পুলিশ প্রধান বলেন, আমাদের একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে, আমরা সবাই মিলে (জনগণ, স্টেকহোল্ডার) ক্রমান্বয়ে প্রতি বছরই ঈদযাত্রা, মানুষের স্বস্তি ও নিরাপত্তা বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছি।
এবারও আমরা ব্যাপক পরিকল্পনা নিয়েছি। কিছু গাড়ি সড়কে চলার সময় বিকল হয়, অল্প মেরামত করে সেগুলো চালু করা যায়। কিন্তু দেখা যায়, যানজটের মধ্যে সেখানে দ্রুত পৌঁছানো যায় না। সে কারণে সারা বাংলাদেশে হাইওয়ে সংলগ্ন যত গ্যারেজ আছে, যারা এসব যানবাহন মেরামতকারী প্রতিষ্ঠান বা মেরামতকারী আছেন তাদের একটি তালিকা আমরা তৈরি করেছি। সেগুলো আমরা সংরক্ষণ করছি, প্রত্যেকটি কন্ট্রোল, সাব-কন্ট্রোল দেয়া আছে।
সভায় হাইওয়ে পুলিশের ডিআইজি মোজাম্মেল হক, ডিএমপি পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের বিভিন্ন কর্মকর্তারা ছাড়াও বিভিন্ন পর্যায়ের স্টেকহোল্ডাররা উপস্থিত ছিলেন।