প্রথম দফায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসায় আগামীকাল রোববার (২৮ মে) দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ হবে তুরস্কে। এরপরই জানা যাবে দেশটির জনগণের শাসনভার কার হাতে যাচ্ছে, কি ভবিষ্যৎ হতে যাচ্ছে দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের দেশটির।
গত ১৪ মের প্রথম দফার ভোটে ৪৯ দশমিক ৫২ শতাংশ ভোট নিয়ে এগিয়ে ছিলেন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। কিন্তু ৫০ শতাংশ ভোট না পাওয়া সংবিধান অনুযায়ী ভোট গড়িয়েছে দ্বিতীয় দফায়। প্রধান প্রতিপক্ষ কিলিচদারোগলু ভোট পেয়েছিলেন ৪৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের ধারণা, প্রথম দফার ভোটে তৃতীয় হওয়া প্রার্থী সিনান ওগান সমর্থন দেয়ায় আরও এগিয়ে গেলেন এরদোয়ান, তাই তার আবারও ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনাই বেশি।
দুই দশক ধরে ক্ষমতায় রয়েছেন তুরস্কের বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান । পূর্ব ও পশ্চিমের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক ধরে রেখেছেন তিনি। দেশটিতে তার জনপ্রিয়তাও রয়েছে ব্যাপক। তবে সাম্প্রতিক সময়ে মূল্যস্ফীতি ও ফেব্রুয়ারিতে ভয়াবহ ভূমিকম্প কিছুটা ভিত নড়িয়েছে তার ক্ষমতার।
তবে বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতি ও অর্থনৈতিক মন্দার মুখেও এরদোয়ান তুরস্ককে একটি সহনশীল অবস্থার মধ্যে ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছেন।
এদিকে নির্বাচনে এরদোয়ানের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিসদারোগলু। দেশটিতে গণতন্ত্র ফেরানো এবং মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। বিশেষ করে দেশটির নারী ভোটারের সমর্থন বেশি তার দিকে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফার ভোট নিয়ে দেশ ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক মহলে চলছে আলোচনা-সমালোচনা, চলছে বিশ্লেষণ। দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারনে সবার চোখ এখন ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিকে।