এন আর ডি ডেস্ক নিউজ ঃ
রাশিয়া হঠাৎ করে ইউক্রেনে হামলার মাত্রা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। একদিকে হামলা বাড়িয়েছে অন্য দিকে খাদ্যশস্য রপ্তানি চুক্তি থেকে সরে গেছে। এতে করে পুরো ইউরোপ জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আর ইউক্রেনের অর্থনীতি একেবারে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। খাদ্য শস্য চুক্তি থেকে সরে আসায় তৃতীয় বিশ্বের অনেক দেশে তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে জাতিসংঘ। ইতোমধ্যে গমে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। কয়েকবার তুরস্কের মধ্যস্থতায় খাদ্যশস্য চুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি পেলেও এবার তুরস্ক চুপ।
এদিকে ইউক্রেনের ওডেসা বন্দর ও রাজধানী শহর কিয়েভে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। বুধবার ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা এ তথ্য দিয়েছেন। তবে এ রুশ হামলায় ক্ষয়-ক্ষতির বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
রাশিয়ান সেনারা এমন সময়ে এ আক্রমণ চালালো যখন রাশিয়া-অধিভুক্ত ক্রিমিয়ান বন্দর শহর সেভাস্তোপল-এ বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ওডেসার আঞ্চলিক গভর্নর ওলেহ কিপার এ বিষয়ে বলেছেন, ‘ইউক্রেনীয় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রুশ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র আক্রমণ প্রতিহত করতে নিযুক্ত ছিল। একইসাথে তিনি ওই বন্দর নগরীর বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।’
রুশপন্থী ব্লগাররা বলছেন, ওডেসা বন্দরে ব্যাপক হামলা করেছে রাশিয়ান সেনারা। তারা ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে এ হামলা চালায়।
ইউক্রেনের বিমান বাহিনী জানিয়েছে, তারা কৃষ্ণ সাগর থেকে রাশিয়ান কালিব্র ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণের বিষয়টি শনাক্ত করেছেন।
ইউক্রেনের রাজধানী শহরেও ব্যাপক রুশ হামলা হয়েছে। একজন প্রত্যক্ষদর্শী কিয়েভের কাছে বিস্ফোরণ ও ধোঁয়া উঠার কথা জানিয়েছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, রাশিয়ার বিমান হামলার পরে ওডেসার বিভিন্ন বহুতল অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিং-এর জানালা উড়ে গেছে এবং রাস্তায় কাঁচের টুকরো ছড়িয়ে রয়েছে।
ক্রিমিয়ান উপদ্বীপের একটি সেতুতে বিস্ফোরণের পরে রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে চরম পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি করেছে। কারণ ওই বিস্ফোরণের জন্য তারা কিয়েভকে দায়ী মনে করে। এ কারণেই তারা দেশটির শস্য রফতানির প্রধান বন্দর ওডেসায় হামলা করেছে।