নেত্রকোণা প্রতিনিধি
নিজেদের জমি নেই বাবা দিনমুজুর।তাই অর্থাভাবে শেষ করতে পারেনি লেখাপড়া। স্কুলগামী সমবয়সীরা যখন হেসে খেলে বেড়ায় সে বয়সে নেত্রকোণা সদর উপজেলার ৩ নং ঠাকুরাকোণা ইউনিয়নের বর্ণি দাসপাড়ার সনজিত সরকার (২৫), চাকরি নেন নেত্রকোণা শহরের একটি চশমার দোকানে। অল্প বেতন তবুও স্বপ্ন ছিলো মনে বাবা-মা বৃদ্ধ দাদী ও ছোট ভাই রাজীবকে নিয়ে আশ্রিত জীবন থেকে বের হয়ে সুখী হওয়ার।
কিন্তু ভাগ্য সহায় ছিল না সনজিত সরকারের বছর দেড় এক আগে হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। জ্বর মাথা ব্যাথা ও হাত পা ফুলে যায়। পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানা যায়, তার দুটো কিডনিই নষ্ট হয়ে যাওয়ার পথে।আকাশ ভেঙে পড়ে বাবা সন্তোষ সরকারের মাথায়। ছেলেকে নিয়ে ময়মনসিংহ থেকে ঢাকা সরকারি হাসপাতাল গুলোয় দৌড়াদৌড়ি শুরু করেন। পুরোপুরি অকেজো দুটি কিডনি প্রহর গুনছেন মৃত্যু। বড় ভাইকে সেবার জন্যে ছোট ভাই রাজীব গার্মেন্টসের চাকরি ছেড়ে বাড়িতে বেকার অবস্থায় নেই কোন উপার্জনের পথ। কিডনি যোগার চিকিৎসা ব্যায় সবই যেন দুঃস্বপ্ন এখন।
কিডনি দিবেন মা পরীক্ষায় মিলেছে সবকিছু কিন্তু টাকা হচ্ছে বাঁধা। এখন তাকে সপ্তাহে দুই দিন ডায়ালাইসিস করাতে হয়। ডায়ালাইসিস না করালে শুরু হয় শ্বাসকষ্ট। সনজিত সরকার এর মা বলেছেন চিকিৎসক যত দ্রুত সম্ভব কিডনি প্রতিস্থাপন করতে বলেছেন। কিন্তু প্রতিস্থাপন করতে প্রায় ৬-৭ লাখ টাকার প্রয়োজন যা তার পরিবারের পক্ষে যোগান দেওয়া কোন ভাবেই সম্ভব নয়। আত্মীয় স্বজন সনজিতের বন্ধুবান্ধব ও প্রতিবেশীরা পাশে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু এই টাকা তার চিকিৎসার জন্য খুবই নগণ্য। এ পরিস্থিতিতে ছেলেকে বাঁচাতে সবার কাছ থেকে সহযোগীতা আশা করছেন তিনি। মালতী রানী সরকার আরও বলেন, আপনারা পাশে দাঁড়ালে ছেলেকে আমি আমার কিডনি দেব।
যদি কোন সহৃদয়বান ব্যাক্তি সনজিত কে সাহায্যর হাত বাঁড়াতে চান তাহলে যোগাযোগ সনজিত সরকার ০১৩১১-৯৩৫২৬৫(বিকাশ) ভাই রাজীব সরকার ০১৭৯৫-২৭৭৬০৭ (বিকাশ,নগদ)