এশিয়া কাপের ১৭তম আসরে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টের রোমাঞ্চকর ফাইনালে ভারত ৫ উইকেটে পাকিস্তানকে হারায়। মিডল অর্ডার ব্যাটার তিলক ভার্মার ঝড়ো ব্যাটিং দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেয়। এই নিয়ে রেকর্ড নবমবারের মতো এশিয়া কাপের শিরোপা জিতল ভারত।
পাকিস্তানের ব্যাটিং ধস
টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাট করতে পাঠায় ভারত। ওপেনার ফারহান ও ফখর জামানের জুটিতে দারুণ সূচনা করে পাকিস্তান। প্রথম ৯ ওভারেই দলীয় রান একশর ঘরে তোলে তারা। ফারহান মাত্র ৩৫ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করেন। কিন্তু সেট হয়েও বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন। বরুণ চক্রবর্তীর বলে তিলকের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
ফারহান করেন ৩৮ বলে ৫৭ রান, জামান করেন ৩৫ বলে ৪৬। কিন্তু ওপেনিং জুটি ভাঙতেই ভেঙে পড়ে পাকিস্তানের ইনিংস। মাঝের ব্যাটাররা কেউই টিকতে পারেননি। কুলদীপ যাদব একাই তুলে নেন ৩ উইকেট। বুমরাহ, বরুণ ও অক্ষর প্যাটেলও ধারাবাহিকভাবে আঘাত হানেন। শেষ পর্যন্ত ১৯.১ ওভারে ১৪৬ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান।
ভারতের শুরুর ধাক্কা
১৪৭ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভারতের টপ অর্ডার একেবারেই ব্যর্থ হয়। ওপেনার অভিষেক শর্মা (৫), শুভমান গিল (১২) এবং অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব (১) দ্রুত ফিরলে ভারতের স্কোরবোর্ড চাপে পড়ে।
তবে মাঝের সারিতে ব্যাট হাতে ঝলসে ওঠেন তিলক ভার্মা। তার সঙ্গে সঞ্জু স্যামসন ও শিবম দুবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
তিলকের ইনিংসে জয়ের বন্দরে ভারত
স্যামসনের সঙ্গে জুটি বেঁধে তিলক দলকে সামাল দেন। পরে শিবম দুবের সঙ্গে গড়ে তোলেন ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার মতো পার্টনারশিপ। দুবে ২২ বলে ৩৩ রান করে ফেরেন। শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১০ রান। হারিস রউফের করা ওভারে প্রথম তিন বলে ৯ রান তুলে নেয় ভারত। চতুর্থ বলে রিঙ্কু সিং চার মেরে দলের জয় নিশ্চিত করেন।
তিলক ৫৩ বলে অপরাজিত ৬৯ রান করে ম্যাচসেরা হন। তার ইনিংসে ছিল ৩টি চার ও ৪টি ছক্কা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান: ১৪৬/১০, ১৯.১ ওভার (ফারহান ৫৭, জামান ৪৬, কুলদীপ ৪/৩০)
ভারত: ১৫০/৫, ১৯.৪ ওভার (তিলক ৬৯*, দুবে ৩৩, ফাহিম ৩/২৯)
ফল: ভারত ৫ উইকেটে জয়ী
রেকর্ডের মুকুটে ভারত
এই জয়ের মাধ্যমে ভারত শুধু শিরোপাই জেতেনি, বরং ইতিহাসও গড়েছে। এশিয়া কাপের ৪১ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম ফাইনালে মুখোমুখি হলো ভারত-পাকিস্তান। আর তাতেই ভারত অপরাজিত থেকে রেকর্ড নবমবারের মতো শিরোপা জিতে নিল।
বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের বোলিং আক্রমণই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তানের ব্যাটিং ভরসা হিসেবে ফারহান-জামান ছাড়া কেউই দায়িত্ব নিতে পারেননি।
