বাংলার হিন্দু সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের সূচনা লগ্ন শুভ মহালয়া আগামীকাল রবিবার। ভোরের আলো ফুটতেই চণ্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে দেবীপক্ষের সূচনা হবে, সমাপ্ত হবে পিতৃপক্ষ। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা তর্পণের মাধ্যমে পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে জল, তিল ও অন্ন নিবেদন করবেন।
মহালয়া মূলত দুর্গোৎসবের দিন গণনা শুরু হওয়ার দিন। পুরাণ মতে, মহালয়ার দিনেই দেবী দুর্গা মহিষাসুর বধের দায়িত্ব পান। শিবের বর অনুযায়ী কোনো দেবতা বা মানুষ মহিষাসুরকে বধ করতে পারতেন না। তাই ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর সম্মিলিতভাবে দেবী দুর্গার আবির্ভাব ঘটান। দেবতাদের প্রদত্ত দশটি অস্ত্র ধারণ করে সিংহবাহিনী মহামায়া দুর্গা নয় দিনের যুদ্ধে মহিষাসুরকে বধ করেন।
আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্গোৎসব শুরু হলেও মূলত মহালয়ার ভোর থেকেই দুর্গাপূজার আগমনধ্বনি শোনা যাবে। এদিন ভোরে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির মেলাঙ্গন, রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন, বরদেশ্বরী কালীমাতা মন্দির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল, সিদ্ধেশ্বরী মন্দির, রমনা কালী মন্দির, স্বামীবাগ লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম, রামসীতা মন্দির ও জয়কালী মন্দিরসহ রাজধানী ও সারাদেশের বিভিন্ন পূজামণ্ডপে মহালয়ার ঘট স্থাপন, চণ্ডীপাঠ ও বিশেষ পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
মহালয়া উপলক্ষে মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি, বিভিন্ন মন্দির ও পূজা উদ্যাপন পরিষদ বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। উৎসবমুখর পরিবেশে এদিন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা দেবী দুর্গাকে আহ্বান জানাবেন, যা শারদীয় দুর্গোৎসবের মূল আনন্দধ্বনি বয়ে আনবে।
