আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে আয়োজনসহ পাঁচ দফা দাবিতে গতকাল শুক্রবার সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, পিআর পদ্ধতি ছাড়া কোনো নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না।
জামায়াতের পাঁচ দাবি
১. জুলাই সনদ বাস্তবায়ন
২. জাতীয় সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন
৩. অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা
৪. সরকারের ‘জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতি’র বিচার দৃশ্যমান করা
৫. জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে যশোর, বাগেরহাট, পিরোজপুর, কিশোরগঞ্জ, নওগাঁ, গোপালগঞ্জ, নীলফামারী, পটুয়াখালী, মানিকগঞ্জসহ বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রাজবাড়ী, গাজীপুর, নরসিংদী, ফরিদপুর, কুমিল্লা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলাতেও অনুরূপ কর্মসূচি পালিত হয়।
সমাবেশে নেতারা বলেন, জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে বর্তমান সরকার গঠিত হয়েছে। তাই নির্বাচনের আগে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন অপরিহার্য। দেশের বেশির ভাগ মানুষ পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চায়, কারণ এতে ভোট চুরি ও স্বৈরাচারের সুযোগ থাকবে না। তারা আরও বলেন, পিআর ছাড়া নির্বাচন দিলে আবার ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচার ফিরে আসবে।
গোপালগঞ্জে এক সমাবেশে জামায়াত প্রার্থী অধ্যাপক রেজাউল করিম বলেন, “পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে বাংলাদেশে আর কোনোদিন স্বৈরাচার দেখা যাবে না; কালো টাকার প্রভাব কমবে; সরকারি দল একতরফা কিছু করতে পারবে না।”
নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, পাঁচ দফা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। জনগণের আত্মত্যাগকে বৃথা যেতে দেওয়া হবে না।
