বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, “পিআর পদ্ধতি খায় না মাথায় দেয়, এখনও বুঝি না।” তিনি দাবি করেন, বিএনপি নির্বাচনের স্বার্থে আপাতত নীরব রয়েছে। তবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আদায়ের জন্য দল মাঠে নামলে তা সম্ভব হবে।
শুক্রবার রাজধানীর লালবাগ মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের খেলার মাঠ সংলগ্ন কেল্লার মোড় শ্মশানঘাটে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভা ও উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গয়েশ্বর বলেন, “আমরা যদি এরশাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে পারি, যদি হাসিনার বিরুদ্ধেও আন্দোলন করতে পারি—তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন আদায়ও সম্ভব। যারা ভোটে জিততে পারবেন না, অন্য পদ্ধতিতে সংসদে আসার চেষ্টা করার প্রয়োজন নেই।”
তিনি আরও বলেন, “কোনো কারণে যদি নির্বাচন না হয়, তাহলে ফ্যাসিবাদই লাভবান হবে। সামনে দুর্গাপূজা। ষড়যন্ত্রকারীরা যেন এই পূজাকে ব্যবহার করে কোনো অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।”
বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীদের উদ্দেশে তিনি আহ্বান জানান, “প্রথমে ধানের শীষে ভোট নিশ্চিত করতে হবে। আলাদা আলাদা ভোট চাইলে জনগণ বিভ্রান্ত হবে, কর্মীরাও বিভক্ত হয়ে পড়বে। পরে তাদের ঐক্যবদ্ধ করা কঠিন হয়ে যাবে।”
অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন খোকনের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, বিএনপির সহ-যুব বিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী মনির হোসেনসহ অন্যান্য নেতারা।
