জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর এই আন্দোলনের কৃতিত্ব নিয়ে বিভিন্ন মহলের মধ্যে যে লড়াই চলছে, তা দেশের অগ্রগতির পথে বাধা সৃষ্টি করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, “যদি কৃতিত্ব নিয়ে লড়াই করা হয়, তাহলে দেশ এগোতে পারবে না। কৃতিত্ব নিয়ে পড়ে থাকলে দেশের মঙ্গল হবে না।” তিনি বুধবার রাজধানীর গুলশানে ‘স্কুল অব লিডারশিপ’ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন।
‘পোস্ট জুলাই পলিটিক্যাল থটস: হুইচ ডিরেকশন বাংলাদেশ ইজ ওয়াকিং’ শীর্ষক এই আলোচনায় আমীর খসরু আরও বলেন, দীর্ঘদিন আগেই নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেশের গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে আসার কথা ছিল। কিন্তু তা না হওয়ায় দেশের সংকট দিন দিন আরও প্রকট হচ্ছে। এর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, সরকার এবং জনগণের মধ্যে কোনো সংযোগ (ব্রিজ) নেই। ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে, ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা এসেছে এবং নতুন বিনিয়োগ হচ্ছে না।
আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর ছাত্ররা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু এক বছর পরও তা বাস্তবায়নের কোনো চিত্র দেখা যাচ্ছে না। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের দৃঢ়তার অভাবকে দায়ী করে বলেন, “লোভের কারণে গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থ হওয়ার পথে।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ বলেন, ১৬ বছরের দমন-পীড়ন ও বাকস্বাধীনতা হরণের বিরুদ্ধে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ছিল ছাত্রজনতার এক স্বতঃস্ফূর্ত গণবিস্ফোরণ। কিন্তু এই অভ্যুত্থানের পর দেশ এখন এক অস্থিতিশীল পর্যায়ে চলে গেছে।
এই আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন পাকিস্তানের কনস্যুলার কামরান ডাঙ্গাল, সাবেক বিচারপতি আব্দুস সালাম মামুন, বিএনপির সহস্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. পারভেজ রেজা কাকন, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. পেয়ার আহমেদসহ আরও অনেকে।
