উজ্জল আহমদ:
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি আর খনিজ সম্পদে ভরপুর জাতীয় সংসদের ২৩২ নং আসন (সিলেট-৪)। গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ২৫টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত এ আসনকে ঘিরে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরব হয়ে উঠেছে রাজনৈতিক অঙ্গন। নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী দল হিসেবে আওয়ামীলীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ না থাকায় এ আসনে এবার মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে যাচ্ছে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে।
এ আসনে বিএনপির প্রায় হাফ ডজন প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। কে পেতে যাচ্ছেন দলীয় টিকেট তা নিয়ে চলছে জল্পনাকল্পনা। তবে বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা প্রচারণায় অনিয়মিত থাকলেও জামায়াতের একক প্রার্থী সাবেক জৈন্তাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন দীর্ঘদিন ধরে এখানে নিয়মিত মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। দলীয় জনপ্রিয়তা ও প্রতীকের দিক থেকে বিএনপি এগিয়ে থাকলেও ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তায় জয়নাল আবেদিন সমানে সমান।
বিএনপিতে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় প্রতিযোগিতা তীব্র হলেও গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম চৌধুরীকে তৃণমূল পর্যায়ের শীর্ষ পছন্দ হিসেবে দেখা হচ্ছে। তিনি মনোনয়ন পেলে পাশাপাশি দুই উপজেলার সাবেক দুই চেয়ারম্যানের মধ্যে সরাসরি ভোটের লড়াই জমে উঠবে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের।
চলমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় বিএনপি ও জামায়াতের দূরত্ব বাড়ায় এর প্রভাব নির্বাচনী সমীকরণেও পড়বে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তবে চূড়ান্ত মনোনয়ন ঘোষণার পরেই স্পষ্ট হবে আসনের প্রধান লড়াই কার মধ্যে হবে। নির্বাচনে আওয়ামিলীগ অংশগ্রহণ না করলেও তাদের ভোটই হতে পারে বড় ফ্যাক্টর, এমনকি তাঁদের কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেও হিসেব গড়মিল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দীর্ঘদিন থেকে প্রতিযোগিতামূলক ভোট উৎসব থেকে বঞ্চিত সাধারণ মানুষ এখন একটি সুন্দর নির্বাচনের অপেক্ষায়। তাঁদের প্রত্যাশা আসন্ন নির্বাচনে যিনিই নেতৃত্বে আসবেন, তিনি তাদের এলাকার উন্নয়ন ও জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাবেন।
লেখকঃ মালয়েশিয়া প্রবাসী সাবেক ছাত্রনেতা।
