ওরস থেকে শিরনি ছাড়া খালি হাতে ফিরেছেন ভক্ত ও আশেকানরা। হযরত শাহপরাণ (রহ.) এর এই ঘটনাটি দি্বিতীয়বার ঘটলো রেওয়াজ শিরনী দিয়ে বিদায় দেওয়া হয়নি তাদের। এ শিরনীকে তাবারুক হিসাবে ভক্ত ও আশেকানদের মাঝে বিশেষ কদর রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) শুরু হওয়া ওরস আজ শুক্রবার বাদ ফজর আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়।
গত বছর ওরসে মব তৈরি করে বিশৃঙ্খলার কারণে এবার পুলিশ প্রশাসন বেশ কিছু বিধিনিষেধ পালনের শর্তে বার্ষিক ওরস করার অনুমতি দেয়। এর মধ্যে ছিল ভক্তদের গান-বাজনা বন্ধ রাখা এবং মাজার মতাওয়াল্লীদের পক্ষ থেকে শিরনী বিতরণ না করা। এছাড়াও কঠোর নিরাপত্তার চাঁদরে ঢাঁকা ছিল।
প্রতি বছর খতমে কোরআন, দোয়া, জিকির, মিলাদ, গিলাফ চড়ানো, গরু জবেহ, ফাতেহা পাঠ এবং শেষ দিন বাদ ফজর আখেরি মোনাজাতের পর শিরনী বিতরণের মধ্য দিয়ে ওরস সমাপ্তি ঘটে। তবে এবার পুলিশের নির্দেশে ভিড় নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কারণে শিরনী বিতরণ বন্ধ রাখা হয়েছে। মাজারের খাদেম আব্দুল আজিজ জানান, ‘প্রশাসনের সভায় আমাদের জানানো হয় শিরনী বিতরণে নিরাপত্তাজনিত কারণে কিছু সীমাবদ্ধতা রাখা হয়েছে। আমরা সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি।’
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন ওরসকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। পুলিশ, র্যাব, এনএসআই, ডিজিএফআই, স্থানীয় সেনা ও অন্যান্য সংস্থা এলাকা মনিটরিং করছে। ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে পুরো এলাকা পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তদারকি কমিটি পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করছে।
তবে অনেকেই জানিয়েছেন প্রশাসনের কথা মেনে নিয়েছি তারপরও প্রশাসন যদি চাইতো সেটা সম্ভব হতো। কারণ প্রশাসনের কঠোর নিরাপত্তায় আমরা আমাদের রেওয়াজ মতো শিরনি বিতরণ করতে পারতাম।











সত্যের সন্ধানে আমরা — NRD News Media Limited