শরীয়তপুরের নড়িয়ায় মাকে বঁটি দিয়ে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ওই পাষণ্ড ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (২১ জুন) সন্ধ্যা ৭টার দিকে শরীয়তপুরের নড়িয়ার ঘড়িষার ইউনিয়নের বাহির কুশিয়া গ্রামে ও ঘড়িষার বাজারের হাজী জালালউদ্দিন মার্কেটের তৃতীয় তলায় সেলিম মাঝির বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নারগিস বেগম উপজেলার ঘরিসার ইউনিয়নের ঘরিসার বাহির কুশিয়া এলাকায় সেলিম মাঝির স্ত্রী। তাঁর স্বামী সেলিম মাঝি ঘড়িসার বাজারের একজন ব্যবসায়ী। আর খুনি জাহিদ হাসান মাঝি (২৪) ওই দম্পতির তিন ছেলের মধ্যে বড়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বুধবার বিকালে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠান শেষে জাহিদের বাবা ও মা বাসায় আসে। পরে জাহিদ ও নারগিসকে বাসায় রেখে সেলিম মাঝি দোকানে চলে যায়। তখন মা নারগিস বেগমকে একা পেয়ে জাহিদ বঁটি এনে মায়ের ঘাড়ে, মাথায় ও হাতে এলোপাতাড়িভাবে কোপাতে থাকেন। তখন নারগিস মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন। গুরুতর আহত অবস্থায় নারগিসকে পরিবার ও স্থানীয়রা মা ও শিশু ডায়াবেটিস হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে স্থানীয়রা জাহিদকে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে। নিহত নারগিসের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তবে নারগিসের ছেলে জাহিদের অভিযোগ- তাঁর মা ও পরিবারের লোকজনকে তিনি ধর্ম সম্পর্কে এক বছর যাবত বুঝাচ্ছেন। কিন্তু তারা জাহিদের কথা মানছেন না। তাই আজ উত্তেজিত হয়ে ঘর থেকে বঁটি এনে মা নারগিস বেগমকে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে খুন করেছেন।
নাড়িয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, নারগিস বেগম নামে এক গৃহবধূকে তার নিজ সন্তান বঁটি দিয়ে কুপিয়ে খুন করেছে। ওই জাহিদকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার সূত্র এখনো জানা যায়নি তদন্ত শেষে প্রকাশ করা হবে। এখনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে মামলা রুজু করা হবে।