ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন নিয়ে চলা আইনি জটিলতা কেটে গেছে। হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ বাতিল করে দিয়েছে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। এর ফলে নির্ধারিত সময়েই ডাকসু নির্বাচন হতে আর কোনো আইনি বাধা রইল না।
আজ সোমবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এই আদেশ দেন। এর আগে একই দিনে বিকেলে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ ডাকসু নির্বাচনের কার্যক্রম ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করে দিয়েছিল। শিক্ষার্থী ঐক্যজোটের মনোনীত সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী এসএম ফরহাদ হোসেনের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে করা একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট এই আদেশ দিয়েছিলেন।
অ্যাডভোকেট শিশির মনির সাংবাদিকদের জানান, চেম্বার আদালতের আদেশের পর ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠানে এখন আর কোনো বাধা নেই।
আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এবার ডাকসু নির্বাচনের ২৮টি পদের জন্য মোট ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, যার মধ্যে ৬২ জন নারী প্রার্থী রয়েছেন। সবচেয়ে বেশি ২১৭ জন প্রার্থী রয়েছেন সদস্য পদে। এছাড়া ১৮টি হলে ১৩টি পদের জন্য মোট ১ হাজার ৩৫ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
চূড়ান্তভাবে ঘোষিত তালিকা অনুযায়ী, ৪৭১ জন প্রার্থীর মধ্যে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন, সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন, এবং অন্যান্য পদগুলোতে মোট ২১৭ জন সদস্য প্রার্থীসহ বিভিন্ন পদে প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। প্রাথমিক বাছাইয়ে বাদ পড়া ১০ জন প্রার্থী আপিল না করায় এবং ২৮ জন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করায় এই চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।
