টাঙ্গাইল শহরে এক মহিলা মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্রীর গোপন ভিডিও ধারণ ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে একই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকসহ দুইজন গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার বিকালে শহরের এনায়েতপুর (বৈল্যা) এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি তানভীর আহমেদ জানান।
গ্রেপ্তাররা হলেন- টাঙ্গাইল শহরের এনায়েতপুর পালপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও হযরত ফাতেমা (রা.) মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষক ওবায়দুল্লাহ (২৫) এবং ওই মাদ্রাসার পরিচালক মোহাম্মদুল্লাহ (৩৫)। তারা সম্পর্কে আপন ভাই।
মামলার বরাতে ওসি তানভীর বলেন, “প্রায় দেড় বছর আগে সদর উপজেলার এনায়েতপুরে হযরত ফাতেমা (রা.) মহিলা মাদ্রাসায় ১০ বছরের এক শিশুকে হিফজ বিভাগে ভর্তি করা হয়। শিশুটি প্রতিষ্ঠানে আবাসিকে থেকে পড়ালেখা করত। এ সুযোগে প্রতিষ্ঠান পরিচালকের ছোট ভাই ওবায়দুল্লাহ শিশুটিকে টাকা চুরির অপবাদ দেন। “২৭ জুলাই সকালে শিক্ষক ওবায়দুল্লাহ মোবাইল দিয়ে শিশুটিকে টয়লেটে গিয়ে উলঙ্গ হয়ে ভিডিও ধারণ করে চুরির স্বীকারোক্তি দিতে বলেন। রাজি না হওয়ায় শিশুটিকে জ্বীন দিয়ে ক্ষতি এবং হত্যা করার হুমকি দেন ওবায়দুল্লাহ। এক পর্যায়ে শিশুটি ভয়ে টয়লেটে গিয়ে উলঙ্গ হয়ে ভিডিও ধারণ করে। পরে ওবায়দুল্লাহ শিশুটিকে বোরকা খুলে তার অফিস কক্ষে যেতে বলেন। এতে রাজি না হওয়ায় শিশুটির ভিডিও ভাইরাল ও হত্যার হুমকি দেন। ভয়ে বাধ্য হয়ে অফিস কক্ষে গেলে গামছা দিয়ে শিশুটির চোখ বেঁধে ধর্ষণ চেষ্টা করেন ওবায়দুল্লাহ।”
তিনি বলেন, ২৮ জুলাই মাদ্রাসা ছুটির পর মেয়েটি বাড়িতে গিয়ে পরিবারকে ঘটনাটি খুলে বলে। বিষয়টি মাদ্রাসার পরিচালকে জানালে তিনি তার ভাইকে অজ্ঞাত স্থানে পাঠিয়ে দেন। বিষয়টি জানাজানি হলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে একে একে অভিযোগ বের হতে থাকে।
