নৌ পরিবহন খাতে গত এক বছরে এসেছে বহুমুখী সাফল্য। সংস্কার কার্যক্রম, অবকাঠামো উন্নয়ন, নৌ যোগাযোগ সম্প্রসারণ, আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ আকর্ষণ ও আধুনিকায়নের পাশাপাশি রাজস্ব আয়ে হয়েছে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি।
সোমবার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নৌ পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এসব তথ্য তুলে ধরেন। খাতটির এক বছরের অর্জন ও কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরতেই এ আয়োজন করা হয়।
উপদেষ্টা জানান, সরকারের দূরদর্শী পরিকল্পনা ও সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে নৌ পরিবহন খাতে বড় ধরনের অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন সংস্থার মোট রাজস্ব আয় হয়েছে ছয় হাজার ৫৭৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা, যা গত অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৯.৪০৮ শতাংশ বেশি। একই সময়ে সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে দুই হাজার ২২৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা—গত অর্থবছরের তুলনায় যা ২১.৮১ শতাংশ বেশি।
চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন এবং বাংলাদেশ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) মাধ্যমে অর্জিত এসব রাজস্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—প্রথমবারের মতো ন্যাশনাল পোর্টস স্ট্র্যাটেজি প্রণয়ন এবং নৌযানের পূর্ণাঙ্গ ডাটাবেজ তৈরির লক্ষ্যে নৌ শুমারি। এছাড়া বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক পরিসরে জাহাজ মালিকদের তালিকায় প্রথমবারের মতো ৩৫তম স্থান অর্জন করেছে।
নৌ কেন্দ্রিক পর্যটন সুবিধা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েও কথা বলেন উপদেষ্টা। তিনি জানান, দেশের অভ্যন্তরীণ জলপথকে পর্যটনবান্ধব করার জন্য সরকার ইতিমধ্যে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে এসব কার্যক্রম ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে যাওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ ইউসুফসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
