নিজস্ব প্রতিবেদন:
আগামীকাল ৫ আগস্ট মঙ্গলবার ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ অনুষ্ঠান। এই রাষ্ট্রীয় কর্মসূচিতে দেশজুড়ে জনসাধারণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে আট জোড়া বিশেষ ট্রেন ভাড়া করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এসব ট্রেন বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ছাত্র–জনতাকে ঢাকায় নিয়ে আসবে এবং সমাবেশ শেষে পুনরায় নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। এ উপলক্ষে দিনব্যাপী থাকবে নানা আয়োজন।
বিকাল ৫টায় অনুষ্ঠানে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। রাষ্ট্রীয়ভাবে আয়োজিত এই সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের নির্বিঘ্ন যাতায়াত নিশ্চিত করতেই ট্রেনগুলো ভাড়া নেওয়া হয়েছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম জানান, “মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জুলাই গণঅভ্যুত্থান অধিদপ্তর থেকে আমাদের কাছে চিঠি এসেছে। আমরা আট জোড়া ট্রেন ভাড়া দিয়েছি। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চাহিদা অনুযায়ী আমরা বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ট্রেন ভাড়া দিয়ে থাকি। জামায়াতও ট্রেন ভাড়া নিয়েছে, আজ ছাত্রদলও নিয়েছে। একইভাবে সরকারও নিয়েছে।”
সচিব আরও জানান, ট্রেনগুলো সিলেট, চট্টগ্রাম, রংপুর, ভাঙ্গা, ভৈরব, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ ও জয়দেবপুর থেকে যাত্রী পরিবহন করবে। নির্ধারিত গন্তব্য থেকে দুপুর ২টা থেকে আড়াইটার মধ্যে ঢাকায় পৌঁছাবে ট্রেনগুলো এবং সমাবেশ শেষে রাত ৮টা, ৯টা ও ১০টার মধ্যে ফিরে যাবে। ট্রেনগুলোর সময়সূচি এমনভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে, যাতে অন্য নিয়মিত ট্রেনের চলাচলে বিঘ্ন না ঘটে।
আটটি ট্রেন ভাড়া করতে সরকারের খরচ হচ্ছে ৩০ লাখ ৪৬ হাজার টাকা। এই খরচের পরিমাণ নিয়ে সচিব বলেন, “চারটি ট্রেন ভাড়া করতে জামায়াতকে যত টাকা দিতে হয়েছে, তার সমান টাকায় সরকার রেলওয়ের কাছ থেকে আটটি ট্রেন ভাড়া নিচ্ছে।”
রাষ্ট্রীয় অর্থে এই উদ্যোগে অংশ নিতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে সাধারণ মানুষ ঢাকায় আসবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতিকে স্মরণ করিয়ে দিতে ও নতুন প্রজন্মের মাঝে ঐতিহাসিক চেতনা জাগ্রত করতে এবারের আয়োজনে আলোকচিত্র প্রদর্শনী, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও বক্তৃতার আয়োজন থাকছে বলে জানা গেছে।
