কুখ্যাত মার্কিন যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টিনের নামের সঙ্গে এর আগেই যুক্ত হয়েছিল সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। এবার নতুন করে বিতর্কে জড়ালেন টেসলার কর্ণধার ইলন মাস্ক।
সম্প্রতি মার্কিন ডেমোক্র্যাটরা ছয় পাতার একটি নথি প্রকাশ করেছেন। সেখানে দাবি করা হয়েছে, ২০১৪ সালের ৬ ডিসেম্বর এপস্টিনের ব্যক্তিগত দ্বীপ লিটল সেন্ট জেমস–এ সফরের পরিকল্পনা করেছিলেন মাস্ক। দ্বীপটিতে বহু নারী ও শিশুকে নিয়ে গিয়ে যৌন নির্যাতন করা হতো বলে অভিযোগ রয়েছে।
তবে মাস্ক এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লিখেছেন মাত্র তিনটি শব্দ—“This is false” (বাংলায়: এটা মিথ্যা)।
ডেমোক্র্যাটদের প্রকাশিত নথিতে মাস্ক ছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির নাম উঠে এসেছে। এর মধ্যে রয়েছেন মাইক্রোসফট প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস, ট্রাম্পের সাবেক উপদেষ্টা স্টিভ ব্যানন, প্রযুক্তি উদ্যোক্তা পিটার থিয়েল ও ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য প্রিন্স অ্যান্ড্রু।
নথি অনুযায়ী, মাস্কের সম্ভাব্য সফরের ঠিক আগের দিন, ২০১৪ সালের ৫ ডিসেম্বর এপস্টিনের সঙ্গে প্রাতরাশ করেছিলেন বিল গেটস। আবার ২০১৯ সালে স্টিভ ব্যাননের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের উল্লেখও রয়েছে।
ডেমোক্র্যাটরা বলছেন, এপস্টিন ফাইলের সম্পূর্ণ অংশ প্রকাশ করতে হবে। তাদের দাবি, এতে ট্রাম্পসহ মার্কিন রাজনীতির অনেক গোপন তথ্য প্রকাশ্যে আসবে। তবে ট্রাম্প প্রশাসন বরাবরই এসব নথি প্রকাশে অনীহা দেখিয়েছে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, এর আগে ট্রাম্পের এপস্টিন–সংযোগ নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন মাস্ক নিজেই। কিন্তু এখন সেই বিতর্কে তাঁর নিজের নাম ওঠায় নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
