ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইউক্রেন-বিষয়ক সাম্প্রতিক অবস্থানকে ‘খুব স্পষ্ট বার্তা’ হিসেবে স্বাগত জানিয়েছেন। ট্রাম্প কিয়েভ রাশিয়ার দখলকৃত সমস্ত ইউক্রেনীয় ভূখণ্ড পুনরুদ্ধারের কথা উল্লেখ করার পর নিউইয়র্ক থেকে ফ্রান্স ২৪ ও আরএফআইকে দেয়া সাক্ষাৎকারে মাখোঁ এ মন্তব্য করেন।
মাখোঁ বলেন, ট্রাম্পের এ অবস্থান পরিবর্তন “অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ” এবং এটি ইউক্রেনের জন্য একটি “নতুন দৃষ্টিভঙ্গি” প্রদানে সহায়ক হতে পারে, কারণ কিয়েভকে যথাযথ সরঞ্জাম ও সমর্থন প্রদান করা অপরিহার্য। তিনি আরও বলেন, আমেরিকার নেতা থেকে এ ধরনের স্পষ্ট সংকেত পাওয়া জোরালো বার্তা, বিশেষত যখন রাশিয়ার সামরিক ও অর্থনৈতিক দুর্বলতার বিষয়ে প্রশ্ন উঠছে।
ট্রাম্পের ওই মন্তব্যের পর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে দেখা ও আলাপ-আলোচনার পর ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও অন্যান্য সহায়তায় “পুরো ইউক্রেনকে তার আসল রূপে ফিরিয়ে আনার” জন্য লড়াই করা ও জয় করার অবস্থায় আছে দেশটি। এইবার্তায় কিয়েভ কিছুটা আশাবাদ ব্যক্ত করেছে।
রাশিয়া অবশ্য ট্রাম্পের মন্তব্যকে নাকচ করে দিল—ক্রেমলিন বলেছে, রাশিয়ার পরিস্থিতি স্থিতিশীল এবং তারা ওই আক্রমণাত্মক বর্ণনাকে প্রত্যাখ্যান করছে। মস্কো বলেন, রাশিয়া ‘কেবল দুর্বল দেশ’ নয় এবং এ বিষয়ে বিবৃতি দিয়েছে। রাজনৈতক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, পশ্চিমা নেতা ও জোট এই মন্তব্যগুলোর পরিণতি বিচার করছেন।
পটভূমি: রাশিয়া ২০১৪ সালে ক্ৰিমিয়াকে নিজের মাঝে মিলিয়ে নিয়েছিল এবং ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মস্কো পূর্ণমাত্রার আঘাত শুরু করার পর দেশটির পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলের বেশ কিছু অংশ দখল করে রাখছে—এই ইতিহাস এবং সাম্প্রতিক পরিস্থিতি থেকেই বর্তমান কূটনৈতিক সঙ্কেতগুলোর তাৎপর্য বোঝা যায়।











সত্যের সন্ধানে আমরা — NRD News Media Limited