ইউক্রেনের স্বাধীনতা দিবসেও থামেনি যুদ্ধ। রোববার দেশটি রাশিয়ার ভেতরে একাধিক ড্রোন হামলা চালায়। এর মধ্যে পশ্চিম রাশিয়ার কুরস্ক পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিস্ফোরণ ঘটায় একটি ড্রোন, যা থেকে আগুন ধরে যায়। যদিও কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে, কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি এবং বিকিরণ স্তরও স্বাভাবিক রয়েছে।
এএফপির খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় রাশিয়া–ইউক্রেন বৈঠকের চেষ্টা হলেও মস্কো স্পষ্ট জানিয়েছে—পুতিন ও জেলেনস্কির মধ্যে কোনো বৈঠক হবে না। ফলে সাম্প্রতিক শান্তি প্রচেষ্টা থমকে গেছে।
তিন বছর ধরে চলমান এই যুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যেই শনিবার রাশিয়া দাবি করেছে, তারা দোনেৎস্ক অঞ্চলের দুটি গ্রাম দখল করেছে।
রুশ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইউক্রেনীয় ড্রোন এখন শুধু যুদ্ধক্ষেত্রেই নয়, শহরাঞ্চলেও হামলা চালাচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে সেন্ট পিটার্সবার্গে হামলার কথাও বলা হয়েছে, যা ফ্রন্টলাইন থেকে অনেক দূরের শহর।
এছাড়া ফিনল্যান্ড উপসাগরের উস্ত-লুগা বন্দরে গুলি করে নামানো হয়েছে ১০টি ড্রোন। এর একটি হামলায় শক্তি গ্রুপ নোভাটেকের জ্বালানি টার্মিনালে আগুন ধরে যায় বলে জানিয়েছেন অঞ্চলটির গভর্নর আলেক্সান্ডার দ্রোজদেঙ্কো।
ইউক্রেনীয় সেনারা জানায়, তারা রাশিয়ার আক্রমণের জবাবে ড্রোন হামলার ওপর নির্ভর করছে—বিশেষত তেলের অবকাঠামোতে। কারণ এসব থেকেই মস্কো মূলত যুদ্ধের অর্থ জোগাড় করে। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে রাশিয়ার তেলের দাম বেড়েই চলেছে।
অন্যদিকে ইউক্রেন দাবি করেছে, শনিবার রাতে রাশিয়া তাদের ওপর একটি ব্যালিস্টিক মিসাইল ও ইরানের তৈরি ৭২টি শাহেদ ড্রোন ছুড়ে মারে। এর মধ্যে ৪৮টি ড্রোন ইউক্রেনের বিমানবাহিনী ভূপাতিত করেছে। তবে দনিপ্রোপেট্রোভস্ক অঞ্চলে এক নারী নিহত হয়েছেন।
আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) আগেই সতর্ক করেছিল—যুদ্ধক্ষেত্রে পারমাণবিক স্থাপনা বারবার ঝুঁকিতে পড়ছে। কুরস্কে রোববারের হামলা সেই আশঙ্কাকে নতুন করে সামনে নিয়ে এলো।











সত্যের সন্ধানে আমরা — NRD News Media Limited