আজ বিশ্ব অ্যাজমা দিবস । এই রোগের প্রতি সচেতনতা ও দায়িত্ববোধ বাড়াতে প্রতিবছর বিশ্ব হাঁপানি দিবস পালন করা হয় । সারা বিশ্ব থেকে শ্বাসকষ্টজনিত রোগ হাঁপানি নির্মূল করতে প্রতি বছর বিশ্ব হাঁপানি দিবস পালিত হয় । এই দিনটি মে মাসের প্রথম মঙ্গলবার পালিত হয়।
যেকোনো রোগ প্রাথমিক লক্ষণ দেখে শনাক্ত করা গেলে যথাযথ সময় চিকিৎসা শুরু করা যায়। ফলে এড়ানো সম্ভব হয় জটিলতা। হাঁপানির ক্ষেত্রে বেশির ভাগ মানুষই বুঝতে পারেন না তিনি আক্রান্ত হয়েছেন। সাধারণ শ্বাসকষ্ট ভেবেই অনেকে এড়িয়ে যান। তাই অ্যাজমা বা হাঁপানির এই ৫ লক্ষণ জানা থাকা জরুরি।
১. শ্বাসকষ্ট: হাঁপানির প্রাথমিক লক্ষণগুলোর একটি শ্বাসকষ্ট। শ্বাসনালি সংকুচিত হয়ে গেলে ফুসফুসে পর্যাপ্ত অক্সিজেন চলাচল করতে পারে না, শুরু হয় শ্বাসকষ্ট।
২. বুকের মধ্যে শনশন শব্দ: হাঁপানিতে প্রদাহের কারণে শ্বাসনালি সংকুচিত হয়ে যায়। তাই শ্বাস-প্রশ্বাসের সময় বাতাস সরু শ্বাসনালি দিয়ে বের হওয়ার সময় বাঁশির মতো শনশন (হুইজিং) আওয়াজ শোনা যায়।
হাঁপানি রোগীর হঠাৎ টান উঠলে কী করব
৩. কাশি: হাঁপানির অন্যতম লক্ষণ কাশি। ধুলাবালু, ধোঁয়ার মতো উপাদানগুলো হাঁপানির ঝুঁকি বাড়ায়। যখন এই ক্ষতিকর মাইক্রো-পার্টিকেল শ্বাসনালিতে প্রবেশ করে, তখনই প্রদাহ হয়। তা ছাড়া এগুলো স্নায়ুকে উদ্দীপিত করে, যা মস্তিষ্ককে সংকেত দেয় কাশির মাধ্যমে ফুসফুস থেকে ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দেওয়ার জন্য।
৪. বুকে চাপা ভাব: হাঁপানির টান উঠলে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে বেশ কষ্ট হয়, ফলে শারীরিক অস্বস্তিবোধ হয়। এতে বুকের মধ্যে টান বাড়ে, বুকে চাপ বোধ হয়।
৫. দীর্ঘমেয়াদি কাশি: যাঁরা তীব্র শ্বাসকষ্টে ভুগছেন, তাঁদের মধ্যে হাঁপানি সম্পর্কিত কাশি এত সহজে দূর হয় না। শীতকালে এই হাঁপানি রোগীদের কাশির সমস্যা আরও বাড়তে পারে।











সত্যের সন্ধানে আমরা — NRD News Media Limited