যে বয়সে দ্রুত বীর্যপাত বেশি দেখা যায়
প্রতিবেদন: মনের খবর টিম
দ্রুত বীর্যপাত বা Premature Ejaculation এমন একটি যৌন সমস্যা যা জীবনের কোনো না কোনো সময়ে অধিকাংশ পুরুষের মধ্যেই দেখা দেয়। বিশেষ করে অল্প বয়সে বা যৌন অভিজ্ঞতার শুরুতে এ সমস্যা তুলনামূলক বেশি হয়। তবে সব ক্ষেত্রে এটিকে রোগ বলা যায় না, অনেক সময় এটি সাময়িক ও স্বাভাবিক একটি বিষয়।
কখন এটিকে রোগ বলা হয়
চিকিৎসকরা দ্রুত বীর্যপাতকে রোগ হিসেবে বিবেচনা করেন তখনই যখন
যোনিপথে প্রবেশের এক মিনিটের মধ্যেই বীর্যপাত ঘটে যায়
পুরুষ চাইলেও মিলনের সময় দীর্ঘায়িত করতে পারেন না
স্ত্রীর যৌন চাহিদা পূরণ না হওয়ায় দাম্পত্য জীবনে টানাপোড়েন শুরু হয়
তবে দাম্পত্য সম্পর্কে যদি আগেই সমস্যার কারণে যৌন অস্বস্তি তৈরি হয়, সেক্ষেত্রে একে যৌন রোগ বলা যায় না।
কারা বেশি আক্রান্ত হন
কম বয়সী ও অনভিজ্ঞ পুরুষরা
যারা প্রথমবার যৌন মিলন করছেন
নতুন সঙ্গীর সাথে মিলনে লিপ্ত হচ্ছেন
যারা দীর্ঘ সময় সঙ্গীর থেকে দূরে থাকেন
মানসিক চাপ বা দুশ্চিন্তার মধ্যে যৌন মিলন করেন
গবেষণায় দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে প্রায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ পুরুষ এ সমস্যায় ভোগেন। বয়সভেদে ১৭ থেকে ৮০ বছর পর্যন্ত যে কারও মধ্যে এটি দেখা দিতে পারে। বাংলাদেশে এর হার প্রায় ২৭ শতাংশ।
দ্রুত বীর্যপাতের কারণ
শারীরিক কারণ
সেরোটোনিন নামক রাসায়নিক উপাদানের ঘাটতি
মানসিক কারণ
যৌন বিষয়ে সঠিক জ্ঞানের অভাব
ভ্রান্ত ধারণা ও নেতিবাচক মানসিকতা
হস্তমৈথুন নিয়ে ভুল ধারণা
যৌন নিপীড়নের ট্রমা
মাদকাসক্তি বা কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
এর ফলে যে সমস্যা হয়
যৌনমিলনে আগ্রহ কমে যাওয়া
লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যা
দাম্পত্য সম্পর্কে অশান্তি
স্ত্রী যৌন তৃপ্তি না পেয়ে বিরক্তি ও আগ্রহ হারানো
পুরুষের মধ্যে পারফরম্যান্স অ্যাংজাইটি তৈরি হওয়া
চিকিৎসা ও সমাধান
দ্রুত বীর্যপাত সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য একটি সমস্যা। চিকিৎসা মূলত দুইভাবে হয়।
ওষুধ
ডেপোক্সিটিনের – হোমিও পেথিক – জিং ফোরট – Susten 30 MG মতো কিছু ওষুধ বীর্যপাত বিলম্বিত করে মিলনের সময় বাড়াতে সহায়তা করে।
সেক্সথেরাপি
বিশেষ সাইকোথেরাপির মাধ্যমে দম্পতির মধ্যে আস্থা ও সঠিক যৌন প্রতিক্রিয়া ফিরিয়ে আনা হয়। সাধারণত ৬ থেকে ১০টি সেশন, অর্থাৎ প্রায় তিন সপ্তাহের চিকিৎসাতেই উল্লেখযোগ্য উন্নতি দেখা যায়।
