বাথরুমে সম্পূর্ণ খোলামেলা গোসলের ফলে ৩টি ক্ষতি
অনেকেই মনে করেন ঘরে একা থাকলে সম্পূর্ণ উলঙ্গ হয়ে গোসল করা তেমন বড় কিছু নয়। কিন্তু ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে এ বিষয়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ইসলাম মানুষকে শুধু সমাজের সামনে নয়, একান্ত ব্যক্তিগত অবস্থাতেও শালীনতা বজায় রাখার শিক্ষা দেয়।
কেন ইসলাম খোলামেলা গোসল নিরুৎসাহিত করেছে
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে পর্দা ও লজ্জাশীলতার নির্দেশ দিয়েছেন। ইসলাম শিখিয়েছে, আল্লাহ সর্বত্র উপস্থিত, তাই একান্ত অবস্থাতেও শালীন আচরণ করা উচিত।
বাথরুমে উলঙ্গ গোসলের ফলে তিনটি বড় ক্ষতি
১. বদজ্বীন ও শয়তানের প্রভাব
ইসলামি বর্ণনায় বলা হয়েছে, বাথরুম হলো বদজ্বীন ও শয়তানের আনাগোনার স্থান। নবী করিম (সা.) তাই বাথরুমে প্রবেশের সময় দোয়া পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন .
“আল্লাহুম্মা ইন্নি আউ‘জুবিকা মিনাল খাবুসি ওয়াল খাবাইস।”
অর্থ: হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি বাথরুমের বদজ্বীন ও শয়তান থেকে।
সম্পূর্ণ উলঙ্গ গোসল করলে এই অশুভ প্রভাব আরও সহজে প্রভাব ফেলতে পারে।
২. হস্তমৈথুনের প্রবণতা বৃদ্ধি
খোলামেলা গোসলের সময় গোপনাঙ্গের দিকে বারবার দৃষ্টি পড়লে শয়তান মনকে প্রভাবিত করতে পারে। এর ফলে মানুষ অজান্তেই হস্তমৈথুনের মতো পাপে জড়িয়ে পড়তে পারে। তাই পর্দা বজায় রেখে গোসল করার অভ্যাস করা উচিত।
৩. লজ্জাশীলতা কমে যাওয়া
হাদিসে এসেছে “লজ্জা ঈমানের অংশ।”
নিয়মিত খোলামেলা গোসলের ফলে মানুষের অন্তর্গত লজ্জাবোধ ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে পারে। এর প্রভাব পড়ে আচরণে ও চিন্তাভাবনায়, যা সমাজে নির্লজ্জতার দিকে ঠেলে দিতে পারে। ইসলামিক আলেমদের মতে, অতিরিক্ত উলঙ্গতা চোখের জ্যোতি ও মনোসংযমও দুর্বল করে দিতে পারে।
