ভালোবাসা কখন কাকে কোথায় ছুঁয়ে যায়, তা কেউ জানে না। কখনও অফিসের ব্যস্ত করিডরে, কখনও এক কাপ কফির আড্ডায়, আবার কখনও হঠাৎ বৃষ্টির দিনে। আজকের গল্প এমনই দুই তরুণ-তরুণীর, যাদের জীবন বদলে যায় এক সাধারণ দিনের অপ্রত্যাশিত ঘটনায়।
আকস্মিক দেখা
ঢাকার ব্যস্ত নগরীর এক কফিশপে প্রথমবার দেখা হয় অর্পা ও আরাফাতের। দু’জনই বইপাগল, দু’জনের হাতেই ছিল উপন্যাস। একে অপরের টেবিলে চোখ পড়তেই অদ্ভুত এক টান অনুভব করেন তারা।
সম্পর্কের শুরু
প্রথমে শুধু বইয়ের গল্পে কথা, পরে মেসেজ, তারপর লম্বা ফোনকল। ধীরে ধীরে দু’জনের মধ্যে গড়ে ওঠে বন্ধুত্বের চেয়ে বড় কিছু—যেটা তারা দু’জনেই অনুভব করলেও, মুখে বলতে দেরি হচ্ছিল।
এক বর্ষার দুপুর
একদিন প্রবল বৃষ্টিতে তারা হেঁটে যাচ্ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে। ছাতা ভিজে গিয়েছিল, তবুও কেউই তাড়াহুড়ো করেনি। বৃষ্টির ফোঁটায় ভিজতে ভিজতে আরাফাত হঠাৎ থেমে বলল, “অর্পা, আমি চাই তুমি আমার জীবনের প্রতিটা বৃষ্টির দিনে থাকো।”
অর্পা লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেললেও ঠোঁটে ফুটে উঠল মৃদু হাসি—এটাই ছিল তাদের সম্পর্কের আনুষ্ঠানিক শুরু।
গল্পের বাঁক
প্রেমে যেমন সুখ, তেমনি কিছু চ্যালেঞ্জও থাকে। পড়াশোনা, পরিবার, ভবিষ্যতের দুশ্চিন্তা—সবকিছুই মাঝে মাঝে দূরত্ব তৈরি করত। কিন্তু তারা শিখে নিয়েছিল, ভালোবাসা মানে শুধু রোমান্টিক মুহূর্ত নয়, বরং কঠিন সময়ে হাত ধরে পাশে থাকা।
আজকের অবস্থা
পাঁচ বছর পর, আজ তারা দু’জনই কর্মজীবনে প্রতিষ্ঠিত। জীবনের সব ঝড়ঝাপটা পেরিয়ে অর্পা আর আরাফাত একসাথে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাদের গল্প প্রমাণ করে—আধুনিক শহুরে ব্যস্ততার মাঝেও সত্যিকারের ভালোবাসা জন্ম নিতে পারে, টিকে থাকতে পারে।
