গত বছরের তুলনায় এ বছর সংস্কৃতি খাতে প্রস্তাবিত বাজেট বরাদ্দ কিছুটা (৬২ কোটি) বাড়লেও বাজেট পরবর্তী তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ বাজেটকে ‘হতাশার’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে ৬৯৯ কোটি টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। যা গত অর্থবছরে এই খাতে প্রস্তাবিত বাজেটের তুলনায় ৬২ কোটি টাকা বেশি। গত অর্থবছরে এ খাতে প্রস্তাবিত বাজেট ছিলো ৬৩৭ কোটি টাকা। বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট বক্তব্যে এ তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী।
গোলাম কুদ্দুছ বলেন, ‘সংস্কৃতি খাতে সরকারের প্রস্তাবিত এই বাজেটে বিগত বছরগুলোর মতো এবারও সংস্কৃতিকর্মীরা হতাশ হয়েছি। আমরা মনে করি, এই বাজেটে সংস্কৃতি খাতকে উপেক্ষা করা হয়েছে।’
‘আমরা সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে এসেছি, সংস্কৃতির যে বিষয়গুলো বাস্তবায়ন না হলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, অসাম্প্রদায়িক চেতনা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, বাংলার সার্বজনিন সংস্কৃতি হুমকির মুখে পড়বে- তার জন্য সংস্কৃতি খাতকে উপেক্ষার কোনো সুযোগ নেই। অথচ তার প্রতিফলন আমরা প্রস্তাবিত বাজেটে পাইনি। সমাজে সার্বিকভাবে যে অবক্ষয়ের চিত্র দেখতে পারছি, সেটা হয়েছে সংস্কৃতির বিপর্যয়ের কারণে। আমরা বিশ্বাস করি, প্রগতিশীল মনন গঠনে সংস্কৃতি খাতে সরকারের আরও বেশী মনোযোগী হওয়া উচিত ছিলো।’
সংস্কৃতি খাতকে উপেক্ষায় করায় আগামী ৩ জুন বিকাল ৫টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের এই নেতা। সভায় সংস্কৃতি খাতের বাজেট নিয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে জানান কুদ্দুছ।











সত্যের সন্ধানে আমরা — NRD News Media Limited