বলিউডের প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী ও অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন সবসময়ই মিডিয়ার কৌতূহল কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন। তার ব্যক্তিগত জীবন, বিশেষ করে অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে বিবাহ ও বিচ্ছেদের সম্ভাবনা নিয়ে নানা জল্পনা প্রায়ই সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যদিও বহুবার এসব জল্পনা উড়িয়ে দিয়েছেন ঐশ্বরিয়া ও অভিষেক দম্পতি, তবুও সমালোচক ও অনুরাগীরা মনে করেন, তাদের মধ্যে সম্পর্ক সবসময়ই সুসংহত।
একটি পুরোনো অনুষ্ঠানে ঐশ্বরিয়া এই বিষয়ে কিছুটা আলোকপাত করেছেন। ২০০৯ সালে আমেরিকায় অপরা উইনফ্রের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঐশ্বরিয়া ও অভিষেক। এই অনুষ্ঠানে তাঁদের বিয়ের কিছু মুহূর্ত তুলে ধরা হয়েছিল। সঞ্চালিকা অপরা উইনফ্রে ঐশ্বরিয়ার প্রতি প্রশ্ন করেছিলেন, “এত জাঁকজমক করে বিয়ে করার পর যদি বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে, তা দম্পতির জন্য কতটা কঠিন হয়ে ওঠে?”
সঞ্চালিকার প্রশ্নে ঐশ্বরিয়া কোনো হাস্যরস বা বিরক্তি প্রকাশ না করে সপ্রশান্তভাবে উত্তর দেন। তিনি বলেন,
“আমরা এমন ভাবনা মাথাতেই রাখি না। বিয়ে মানেই পরস্পরের প্রতি সারাজীবনের প্রতিশ্রুতিবদ্ধতা। পরিবারের সঙ্গে থাকার মধ্যেই রয়েছে আনন্দ।”
এই মন্তব্যে স্পষ্টভাবে বোঝা যায়, ঐশ্বরিয়া ও অভিষেক বচ্চনের দাম্পত্য মজবুত ও আন্তরিক। বিয়ে শুধুমাত্র দুই ব্যক্তির নয়, দুই পরিবারের বন্ধনও রক্ষা করে। তিনি আরও জানান, পরিবার এবং পরিবারের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তই জীবনের সুখের কেন্দ্রবিন্দু।
অভিষেক-ঐশ্বরিয়া: পারস্পরিক সমঝোতার প্রতীক
ঐশ্বরিয়া ও অভিষেকের বিয়ে ২০০৭ সালে সম্পন্ন হয়। যাত্রা শুরু করার পর থেকে তাদের সম্পর্ক নিয়ে মিডিয়ায় নানা জল্পনা ও গসিপ তৈরি হয়েছে। তবে, দু’জনই সবসময় নিজেদের ব্যক্তিগত জীবনকে মিডিয়ার চোখের বাইরে রাখার চেষ্টা করেছেন।
অপরা অনুষ্ঠানে ঐশ্বরিয়ার মন্তব্য এই ধারণাকে আরও দৃঢ় করেছে যে, তারা পারস্পরিক সম্মান ও সমঝোতার ভিত্তিতে জীবন যাপন করছেন। তাঁরা বিয়ে মানেই সারাজীবনের প্রতিশ্রুতি এবং পরিবারকে কেন্দ্র করে সুখী থাকার ওপর জোর দিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এই ধরনের প্রকাশনা মিডিয়া ও ভক্তদের মধ্যে নেতিবাচক গসিপ কমাতে সহায়ক। এছাড়া, এতে অন্যদেরও বোঝা যায় যে, সর্বোচ্চ জাঁকজমক ও প্রচারের মধ্যেও সম্পর্কের মূলে থাকা উচিত বিশ্বাস ও পরিবারকেন্দ্রিকতা।
জন্মদিন ও সামাজিক প্রতিক্রিয়া
শনিবার, ১ নভেম্বর, ঐশ্বরিয়ার জন্মদিন। সাধারণত এদিনে অভিনেত্রীরা পরিবার ও ভক্তদের শুভেচ্ছা পান। অমিতাভ বচ্চন ও অভিষেক বচ্চন নিয়মিতভাবে অন্যান্য তারকাদের জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানান। তবে ঐশ্বরিয়ার জন্মদিনে এখন পর্যন্ত বচ্চন পরিবারের কেউ প্রকাশ্যভাবে শুভেচ্ছা জানাননি।
তবে মিডিয়া বিশ্লেষকরা মনে করছেন, পরিবারিক শুভেচ্ছা ব্যক্তিগতভাবে প্রকাশ করা হতে পারে। এটি বোঝায় যে, ঐশ্বরিয়া ও অভিষেকের দাম্পত্য স্থিতিশীল এবং তারা মিডিয়ার বাইরে নিজেদের ব্যক্তিগত মুহূর্তগুলো রক্ষা করছেন।
ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের এই মন্তব্য পরিস্কারভাবে দেখাচ্ছে যে, বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে দম্পতির মনোভাব কেমন হতে পারে—সে বিষয়ে তাদের মানসিকতা দৃঢ় ও বাস্তবসম্মত। মিডিয়ার নানা জল্পনা সত্ত্বেও, তারা পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও পরিবারের গুরুত্ব বজায় রেখে জীবনযাপন করছেন।
এই মন্তব্য শুধু ভক্তদের মনোভাবকে শান্ত করছে না, বরং বলিউডের অন্যান্য দম্পতিদেরও উদাহরণ দিচ্ছে যে, বিয়ে শুধুমাত্র সামাজিক অনুষ্ঠান নয়, সারাজীবনের দায়বদ্ধতা ও পারস্পরিক সমঝোতার প্রতিফলন।










সত্যের সন্ধানে আমরা — NRD News Media Limited