চলতি বছরের শুরু থেকেই তরুণ সংগীতশিল্পী শেখ সাদী এবং চিত্রনায়িকা পরীমণির সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন চলছিল। বিশেষ করে ২৭ জানুয়ারি পরীমণি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পাওয়ার দিন থেকে এই গুঞ্জন জোরালো হয়। এমনকি সেই জামিনদারও ছিলেন এই তরুণ গায়ক। পরে তাদের ঘোরাঘুরি এবং সামাজিক মাধ্যমে রোমান্টিক পোস্ট আরও বেশি খবরের শিরোনামে উঠে আসে।
সম্পর্কের সত্যিই কি কোনো রোমান্টিক বাঁধন ছিল?
যদিও এ বছরের এপ্রিলে সংবাদমাধ্যমে খবর আসে যে পরীমণি-সাদীর সম্পর্ক শেষ হয়ে গেছে, সম্প্রতি একটি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে চিত্রনায়িকা বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন। প্রেমের গুঞ্জন নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে পরীমণি হাসতে হাসতে বলেন,
“ও আমার ছোট ভাই। ও আমার ছোট ভাইয়ের মতো।”
এর আগে, শেখ সাদীও সমকালকে জানিয়েছিলেন, “একই অঙ্গনে দীর্ঘদিন কাজ করার কারণে পরীমণির সঙ্গে পরিচয় হয়েছে। পেশাগত বিষয় নিয়ে তার চলাফেরা সম্পর্কে নিয়মিত কথাবার্তা হয়। এটা নিয়ে কিছু বলার নেই।”
পরীমণিও সেই সময় জানান,
“একটা চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে আমার জীবন চলছে। বিপদের সময়ে যে পাশে থাকে, সে জীবনের জন্য আশীর্বাদ। আমি এই জীবনে অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী পেয়েছি, এখনো অনেক রয়েছে। আমার সুখ-দুঃখের গল্পগুলো তাদের সঙ্গে শেয়ার করি। এতে আমি মানসিকভাবে ভালো থাকি।”
পরীমণির ব্যক্তিগত জীবনের গল্প
চিত্রনায়িকা পরীমণির ব্যক্তিগত জীবনও মিডিয়ায় প্রায় সময়ই আলোচনার বিষয় হয়ে থাকে। তিন বছর আগে ‘গুণিন’ সিনেমার শুটিংয়ের সময় পরীমণি নায়ক শরীফুল রাজ-এর সঙ্গে পরিচয় হয়। পরিচয় থেকে প্রণয় এবং পরে তাদের একটি ছেলেসন্তান হয়। দেড় বছর আগে তাঁদের মধ্যে সম্পর্কের ফাটল ধরে এবং তারা বিচ্ছিন্ন হন।
এই প্রেক্ষাপটে পরীমণি এবং সাদীর সম্পর্কের গুঞ্জনকে খোলাসা করে পরীমণি স্পষ্টভাবে জানিয়েছে, এটি কেবল পেশাগত সম্পর্ক এবং বন্ধুত্বের মাত্র।
গুঞ্জন ও বাস্তবতা
পরীমণি-সাদীর ঘনিষ্ঠতা এবং সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত বন্ধুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলো গুঞ্জন তৈরি করেছিল। তবে চিত্রনায়িকার নিজস্ব বক্তব্য অনুযায়ী, শেখ সাদী তার জীবনের ছোট ভাইয়ের মতো, কোনো রোমান্টিক সম্পর্কের মধ্যে নেই।
পরীমণির খোলাখুলিভাবে ব্যক্তিগত জীবনের প্রসঙ্গ উত্থাপন এবং গুঞ্জন উড়িয়ে দেওয়ায় অনুরাগীরা প্রশংসা করেছেন। অনেকেই মনে করছেন, এই খোলামেলা দৃষ্টিভঙ্গি তাকে শুধু মিডিয়া ব্যক্তিত্ব হিসেবেই নয়, বরং একজন পরিণত মানুষ হিসেবেও আলাদা পরিচয় দিয়েছে।
