ঢাকা ও কলকাতা—দুই বাংলার সিনেমা প্রজন্মের জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান এবারের শারদীয় দুর্গোৎসব কাটিয়েছেন দুই শহরের আবেগ ও উৎসবের সঙ্গে মিলিয়ে। পূজার প্রথম ভাগ কেটেছে কলকাতার জমকালো মণ্ডপে, রাত জেগে ঠাকুর দর্শন, ভোগ খাওয়া, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা—সব মিলিয়ে তৈরি হয়েছে এক অনন্য অভিজ্ঞতা।
নবমীর সকালেই তিনি ফিরে এসেছেন ঢাকায়, নিজ এলাকার পূজামণ্ডপে যোগ দিতে। কলকাতার পূজা অভিজ্ঞতা নিয়ে জয়া বলেন,
“দারুণ লাগছে। রাত জেগে ঠাকুর দেখা, ভোগ খাওয়া, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা—সবই হয়েছে। সঙ্গে পূজা পরিক্রমাও ছিল।”
কলকাতার পূজা বনাম ঢাকার পূজা
জয়া আরও বলেন, দুই বাংলার পূজার মধ্যে রয়েছে পার্থক্য। তার ভাষায়,
“বাংলাদেশেও বড়ভাবে পূজা হয়। খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা থাকে। তবে কলকাতার মতো নয়। কলকাতার পূজার ব্যাপারটাই আলাদা।”
কলকাতার পূজা শহরের উচ্ছ্বাস ও সাংস্কৃতিক আয়োজনকে ঘিরে বিস্তৃত—মণ্ডপের সাজসজ্জা, বিশাল ভিড়, নানারকম সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এই জমকালো পরিবেশ কলকাতার পূজাকে বিশেষ করে তুলেছে।
দেশের টানে ঢাকায় দ্রুত ফেরা
কলকাতার প্রতি ভালোবাসা থাকলেও দেশের টানে জয়া তড়িঘড়ি করে ফিরেছেন ঢাকায়। ঢাকায় যে কম্পাউন্ডে তিনি থাকেন, সেখানে বিশাল মণ্ডপে পূজা হয়, প্রতিমা দর্শনে আসে অসংখ্য মানুষ। নিজ এলাকার পূজামণ্ডপে যোগ দিয়ে তিনি দেশের ভক্তদের সঙ্গে এই উৎসব ভাগ করেছেন।
পূজার আবহ ও আবেগে দুই বাংলার মিলন
দুই বাংলার পূজা মিলিয়ে এবারের দুর্গোৎসব জয়ার জন্য হয়ে উঠেছে স্মরণীয় এক অভিজ্ঞতা। কলকাতার শহুরে উচ্ছ্বাস ও ঢাকার ঘরোয়া উন্মাদনা—উভয়ই তাকে দিয়েছে এক অনন্য উৎসববোধ।
জয়ার এই অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে, দুর্গাপূজা কেবল ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, দুই বাংলার সাংস্কৃতিক মিলনের উৎসব।
