মুখোপাধ্যায় পরিবারে এ বছর দুই কাকার মৃত্যুর জেরে জোড়া শোক নেমেছে। সম্প্রতি পরিচালক অয়ন মুখোপাধ্যায়ের বাবা দেব মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু ঘটে, মাসখানেকের ব্যবধানে আরেক কাকা রণো মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুও আসে। শোকের আবহেও পরিবার জানিয়েছিল, দুর্গাপুজোর আয়োজন চলবে স্বাভাবিকভাবে।
প্রতিবছরের মতোই পঞ্চমী থেকে মণ্ডপে হাজির ছিলেন কাজল। গত তিন দিন তিনি হাসিখুশি এবং সজাগভাবে সব আয়োজন দেখভাল করছিলেন।
অষ্টমীর ভোর: দায়িত্ব ও তদারকি
অষ্টমীর সকাল থেকে কাজল হালকা পেঁয়াজি রঙের শাড়িতে মণ্ডপের প্রতিটি আয়োজন তদারকি করছেন। কে কখন অঞ্জলি দেবে, কোন স্থানে ছবি তুলবে, খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা—সবকিছুর নজর রাখছিলেন তিনি।
মণ্ডপে উপস্থিত দর্শকরা এবং ছবিশিকারিরা, যারা সাধারণ দর্শকের মতোই ভিড় করেছেন, তাদের নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পুরোপুরি পালন করছিলেন কাজল।
ফটোগ্রাফারদের ধমক
অঞ্জলির সময় হাজির হন জয়া বচ্চন। প্রতিবছরের মতোই এই দুই বঙ্গললনা একসঙ্গে ছবি তুলবেন। কিন্তু এই মুহূর্তে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়, যা দর্শক ও ছবিশিকারিরা সৃষ্টি করে। জয়া প্রতিবারের মতো বিরক্ত হয়ে কানে আঙুল দিয়ে ছবি তোলার জন্য ইশারা দেন, কিন্তু কার্যকর হয়নি।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অবশেষে কাজল নিজেই হঠাৎ জোর গলায় বলেন,
“একদম চুপ, এত চিল্লাচিল্লি করবেন না এখানে দাঁড়িয়ে।”
কাজলের এই ধমকে ভিড় খানিকটা শান্ত হয়।
দর্শক ও মিডিয়ার প্রতিক্রিয়া
মণ্ডপে উপস্থিত দর্শকরা জানান, কাজলের ধমক সত্যিই কার্যকর হয়েছে। একজন দর্শক বলেন,
“তাঁর ধমকেই আমরা শান্ত হই। এটি প্রমাণ করে, শোকের মধ্যেও পূজার দায়িত্বে তিনি কতটা সংযমী ও সতর্ক।”
মণ্ডপে সকল আয়োজন যাতে নির্বিঘ্ন হয়, তা নিশ্চিত করতে কাজল পুরো দিন ধরে উপস্থিত ছিলেন। অঞ্জলির সময় দায়িত্বশীলতার পাশাপাশি উপস্থিত দর্শক ও মিডিয়ার চাপও দক্ষতার সঙ্গে সামলান তিনি।
পেশাদার সংযমের উদাহরণ
শোকমিশ্রিত পরিবেশেও কাজলের উপস্থিতি ও দায়িত্বশীল আচরণ প্রমাণ করে, পূজার আনন্দ ও সামাজিক দায়িত্বকে তিনি কতটা গুরুত্ব দেন। ছবি শিকারিরা ও দর্শকরা হালকা ধমকেই শান্ত হয়ে যান, যা একটি সংযমী ও পেশাদার অনুষ্ঠানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
