কলকাতার অভিনেত্রী রুপা গাঙ্গুলী সম্প্রতি শৈশবের নানা ঘটনা স্মরণ করে জানিয়েছিলেন, মা তাকে ছোটবেলা থেকেই সাহসী এবং আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তুলেছিলেন। পাড়ার অন্যান্য শিশুদের মতোই সাধারণ শৈশব কাটলেও মায়ের শিক্ষা তাঁকে জীবনের নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত করেছিল।
রুপা গাঙ্গুলি বলেছেন, “মাকে একটা সময় পর্যন্ত খুব পরিশ্রম করতে হতো। আমার বাবাও একইভাবে পরিশ্রমী ছিলেন। দুজনের কাছ থেকেই কাজের গুরুত্ব ও ধৈর্য শিখেছি।”
শৈশবে মা তাঁকে শুধু কাজ শেখাননি, জীবনের ছোট-বড় নানান বিষয়েও পথ দেখিয়েছিলেন। তৃতীয় শ্রেণিতে পড়াকালীন এক গল্প তিনি স্মরণ করেন—মা হঠাৎ একা তাকে রাস্তায় ছাড়েন এবং বলেছিলেন, “ওকে তো একাই চলতে হবে। তাই ছোট থেকেই অভ্যাস করতে হবে।” এই অভিজ্ঞতা তাঁকে সাহসী এবং আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তুলেছিল।
শুধু কাজ ও রাস্তায় চলাচল নয়, মা শৈশব থেকেই রুপাকে শরীর ও নিরাপত্তা সম্পর্কেও শিক্ষিত করেছিলেন। তিনি বলেন, “সপ্তম শ্রেণিতেই মায়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পেটিকোট, ব্লাউজ সেলাই করতে পারতাম, রান্নাঘর, বাথরুম ও বাসন মাজার কাজও করতে পারতাম।”
রুপা গাঙ্গুলী আরও জানিয়েছেন, তাঁর মা ছিলেন রাগী ও জেদি, তাই শৃঙ্খলা খুব কড়াকড়ি ছিল। প্রেম বা ছেলেদের দিকে তাকানো তো দূরের কথা—মা যেন চোখ রাখতেন সবক্ষেত্রে। তিনি লিখেছেন, “কোনো ছেলের দিকে বেশিবার তাকাতে পর্যন্ত পারতাম না! মা সঙ্গে সঙ্গে বলে দিতেন, ‘তুই যেন বেশি ওর দিকে দেখিস না!’ মা ছিলেন এমন কঠোর, যে কখনো দুর্বল মুহূর্তে তাঁকে জড়িয়ে ধরাও পারিনি। আমার আশ্রয় ছিল বাবা।”
এই শৈশবিক অভিজ্ঞতাগুলোই পরে রুপা গাঙ্গুলীকে জীবনে সাহসী, স্বাবলম্বী এবং আত্মনির্ভরশীল করে তুলেছে।
