
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে উদ্বেগজনক তথ্য—বাংলাদেশে বর্তমানে প্রতি চারজন নাগরিকের একজন দারিদ্র্যের মধ্যে জীবন কাটাচ্ছেন। অর্থাৎ জাতীয় জনসংখ্যার প্রায় ২৪ শতাংশ মানুষ এখন দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থান করছেন।
🔸 দারিদ্র্যের হার বৃদ্ধি
তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে দেশে দারিদ্র্যের হার ছিল ১৮.৭ শতাংশ। মাত্র তিন বছরের ব্যবধানে, ২০২৫ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪.৩ শতাংশে। এর পাশাপাশি অতিদারিদ্র্যের হারও ৫.৬ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬.৯ শতাংশে পৌঁছেছে।
🔸 আয় ও ব্যয়ের চিত্র
গবেষণায় দেখা গেছে, গত কয়েক বছরে মানুষের মাসিক আয় কিছুটা বেড়েছে বটে, তবে ব্যয়ের তুলনায় সেই আয় খুবই অপ্রতুল।
২০২২ সালে জাতীয় গড় মাসিক আয় ছিল ৩২,৮৬৮ টাকা, যা ২০২৫ সালে দাঁড়িয়েছে ৪৫,৪২৪ টাকায়।
অন্যদিকে গড় মাসিক ব্যয় ২০২২ সালে যেখানে ছিল ৩১,৫০০ টাকার কাছাকাছি, ২০২৫ সালে তা বেড়ে ৪৪,৮৮০ টাকায় পৌঁছেছে।
ফলে আয়ের সামান্য উন্নতি হলেও ব্যয়ের লাগামহীন বৃদ্ধি অনেক পরিবারকে দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
🔸 খরচের প্রধান খাত
মানুষের আয়ের সবচেয়ে বড় অংশ ব্যয় হচ্ছে খাদ্যে—যার পরিমাণ মোট খরচের ৫৪.৫ শতাংশ। এর বাইরে চিকিৎসা খাতে ৭.৫ শতাংশ, শিক্ষায় ২.৯ শতাংশ, বাসাভাড়া ৬.৪ শতাংশ এবং পরিবহন খাতে প্রায় ৮ শতাংশ খরচ হচ্ছে।
🔸 বিশেষজ্ঞদের মতামত
অর্থনীতি বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে দারিদ্র্যের হার আরও বাড়তে পারে। বিশেষ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম, বাসাভাড়া ও স্বাস্থ্যসেবার খরচ মানুষের আয়কে কার্যত অপ্রতুল করে তুলছে।
উপসংহার
বাংলাদেশ গত কয়েক দশকে উন্নয়নের পথে এগোলেও সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান এক অস্বস্তিকর বাস্তবতা সামনে এনেছে। আয় বৃদ্ধি পেলেও ব্যয় ও মূল্যস্ফীতির চাপ সাধারণ মানুষকে আবারও দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এ অবস্থা মোকাবেলায় সরকারের পাশাপাশি সমাজের সবস্তরের মানুষের সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন











সত্যের সন্ধানে আমরা — NRD News Media Limited